জুমবাংলা ডেস্ক : গত ১৩ মার্চ মাদারীপুরের শিবচরে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুতে এই ঘটনা বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তবে সমন্বিত ও কঠোর পদক্ষেপের কারণে শিবচরে করোনা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে সেখানে করোনা সংক্রমণের হার শূন্যে নেমে এসেছে।
জানা গেছে, গত ১৯ মার্চ সারা দেশে মোট আক্রান্ত ১৭ জনের মধ্যে আটজনই ছিলেন এই শিবচরের। ৫ এপ্রিল উপজেলায় আবার তিনজনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। তখন পুরো শিবচরকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল ছিল। ১২ এপ্রিল আক্রান্ত হন আরও তিনজন। তবে এর পর থেকে নতুন করে কোনো সংক্রমণ নেই ওই উপজেলায়।
ইতোমধ্যে সেখানে করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১১ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন চারজন। আপতত হোম কোয়ারেন্টিনেও কেউ নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনা সনাক্তের পরই এই উপজেলার আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ও সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যার ফলে অন্যান্য স্থানে যেখানে করোনার বড় বিস্তার ঘটেছে, সেখানে শিবচর উন্নতির দিকে হেঁটেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা বিস্তার ঠেকাতে শিবচরে এক মাসের বেশি সময় ধরে শিবচর উপজেলায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। মাত্র চার ঘণ্টা খোলা থাকত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। এখানে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত কমিটি গঠন করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসী ও দরিদ্রদের খাবার সহায়তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় প্রশাসন।
এছাড়া মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিইসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় এভাবেই করোনা মোকাবিলায় সফল হয় শিবচর।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যেসব জেলা করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে সেখানে রোল মডেল হতে পারে শিবচর। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।