যেসব দাবিতে টানা কর্মবিরতিতে উবার-পাঠাও চালকরা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ছয় দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মবিরতির পালন করছে উবার, পাঠাও, ওভাইসহ রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্মের চালকরা। গতকাল রবিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে আগামী ৫ কার্যদিবসে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে নিয়মিত কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়নের (ডিআরডিইউ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোনাল কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. সোহেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে ।

তিনি জানান, ছয় দাবিতে ২৮ নভেম্বর রবিবার থেকে ধারাবাহিকভাবে সপ্তাহে পাঁচদিন অর্থাৎ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে রাইড শেয়ার বন্ধ থাকবে। আজ দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

তাদের দাবিসমূহ:
১. আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারকারী হিসেবে রাইড শেয়ারিং অ্যাপের চালকদের শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. রাইড শেয়ার অ্যাপের কমিশন ২৫ শতাংশ এর পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
৩. অপরাধ প্রমাণ ছাড়া কোনো আইডি বন্ধ করা চলবে না। সবক্ষেত্রে শ্রম আইনের পরিপূর্ণ প্রয়োগ করতে হবে।
৪. মিনিট কিলোমিটার এবং বেইজ ফেয়ার সবাইকে ন্যায্য পাওনা দিতে হবে।
৫. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড-শেয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত যানবাহন দাঁড়ানোর বৈধ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. এনলিস্টমেন্ট করা যানবাহনগুলোকে অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্সের আওতামুক্ত করতে হবে।
দাবি আদায় না হলে আগামী সপ্তাহে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ডিআরডিইউ’র পক্ষ থেকে।

এদিকে চালকদের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে কমিশন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঠাও। বৃহস্পতিবার থেকে দেশীয় রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাও পিক আওয়ারে (সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা) পর্যন্ত ১০ শতাংশ এবং অফ-পিক আওয়ারে ১৫ শতাংশ কমিশন কার্যকর করবে। এটা দেশের বাইক রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণ কমিশন।

আরেক রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ওভাই সিএনজি চালিত অটোরিকশার জন্য ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নেবে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার মধ্যে কার রাইডের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

আরেক রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ওভাই সিএনজি চালিত অটোরিকশার জন্য ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নেবে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকার মধ্যে কার রাইডের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেটে ১০ শতাংশ হারে কমিশন নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

চলমান কো’ভিড-১৯ মহা’মারির মধ্যে যখন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির ওপর গুরুতর আঘাত আসে। সে সময় অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক অফলাইনে পরিচালনা করতে বাধ্য হন, যেটা বেআইনি।

এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিআরটিএ পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি ও যানবাহনের তালিকাভুক্তি বাধ্যতামূলক করলে এ খাতে আরও একটি ধাক্কা আসে।

এক শর্তে ঢাকায় উবারে যাতায়াতে লাগবে না ভাড়া