স্পোর্টস ডেস্ক: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নিল বাংলাদেশের যুবারা। যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিক্তিক ক্রিকেটেও কখনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার রংপুরের সন্তান আকবর আলীর হাত ধরে বিশ্বজয় করেছে বাংলাদেশ।
যেকোনো ধরণের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিক্তিক, এমনকি মেয়েদের ক্রিকেটেও কখনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ঘরের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছিল তারা।
সেই সঙ্গে ভারতের উপর একটি প্রতিশোধও নিল যুব টাইগাররা। এই ভারতের বিপক্ষেই সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে ৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলও এশিয়া কাপের ফাইনাল ও নিদাহাস ট্রফিতে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হেরে যায় ভারতের বিপক্ষে। তবে এবার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ঠিকই ভারতকে বড় মঞ্চে হার উপহার দিল বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, আমি ভবিষ্যতে ক্রিকেটে আরও ভালো অবদান রাখতে চাই।
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে ফাইনালে জয়ের পর ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ দলের জয়ের নায়ক অধিনায়ক আকবর আলী বলেন, হঠাৎ অনেকগুলো উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমাদের প্রয়োজন ছিল জাস্ট একটা জুটির। তাই পরিকল্পনা ছিল আমাদের একটা জুটি গড়ার। আমি আমার পার্টনারদের এ বিষয়টাই বলেছি। আমরা শুধু স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোচিং স্টাফ অনেক কষ্ট করেছে। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচরা আমাদের খুবই উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার টার্গেট বছর দেড়েকের মধ্যে আরও ভালো কিছু করার। আমি ভবিষ্যত ক্রিকেটে আরও ভালো অবদান রাখতে চাই।
শেষ দিকে ধারাভাষ্যকারের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের উদ্দেশে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের অগণিত দর্শকদের উদ্দেশে বাংলায় আকবর আলী বলেন, আমি দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সঙ্গে ছিলেন।
আকবর আলীর বন্ধুরা যখন বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যেতেন, তার ব্যাগে থাকতো ক্রিকেট বল। ছোট্ট আকবর যে ক্রিকেটে মজে গেছেন, সেটা বোঝা গিয়েছিলো তখনই। রংপুরের এক ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর আকবর বুঝিয়ে দেন, ক্রিকেটটা তার মধ্যে ভালোভাবেই আছে। অঞ্জন সরকারের হাত ধরে রংপুর জেলা স্কুলের মাঠে তার ক্রিকেটের সত্যিকারের হাতেখড়িটাও হয়ে যায়।
২০১২ সালে দেশের সেরা ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ভর্তি হন । তারপর শুধুই তার এগিয়ে যাওয়ার গল্প। বিকেএসপির বয়সভিত্তিক দলে খেলে সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও হতে থাকে সমানতালে।
শুধু ক্রিকেট নিয়েই অবশ্য পড়ে থাকেননি আকবর। পড়াশোনাটাও দারুণভাবে করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে তার এসএসসি পরীক্ষার সময় চলছিলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। তখন খেলা ও লেখাপড়া দুটিই সামলেছেন দারুণ মনোযোগে। এসএসসিতে জিপিএ-ফাইভ পান তিনি। এইচএসসিতে ৪.৪২।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।