 জুমবাংলা ডেস্ক: রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পথে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বাংলাদেশের জন্য ২৬ কোটি ১০ লাখ (২৬১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
জুমবাংলা ডেস্ক: রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পথে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বাংলাদেশের জন্য ২৬ কোটি ১০ লাখ (২৬১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মিতব্য রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের লেনদেনবিষয়ক উপদেষ্টা হলো এডিবি।
প্রকল্পটি যানজট নিরসন করবে এবং রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ স্থাপন করবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত একটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, ব্যাংক অব চায়না, ডিবিএস ব্যাংক লিমিটেড এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড থেকে সর্বাধিক ১৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণের মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থায়ন করা হচ্ছে।
দাতারা অবশিষ্ট ৬৮ মিলিয়ন ইক্যুইটি বিনিয়োগ হিসোবে প্রদান করেছে।
এডিবি প্রকল্পের কাঠামো, আলোচনা, দরপত্রে সহায়তা করেছে এবং বাণিজ্যিক ও আর্থিক সুবিধা প্রদানে সহায়তা করেছে।
এডিবি’র মার্কেটস ডেভেলপমেন্ট এবং পিপিপি অফিসের প্রধান ক্লিও কাওয়াওয়াকি বলেন, ‘আমরা এই এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি খাতের অংশীদারদের প্রস্তুত, বাজারজাতকরণ এবং আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ সরকারি কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিলেট এবং বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলোর মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করবে এবং যাত্রীদের দ্রুত তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সুবিধা প্রদান করবে।’
 কাওয়াওয়াকি বলেছেন, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পিপিপি প্রকল্পটি মার্কিন ডলার এবং রুপির বিনিময় হারের সাথে আংশিক রাজস্ব যুক্ত একটি প্রাপ্যতা প্রদানের ব্যবস্থার অধীনে বিতরণ করা হয়েছিল। যেখানে ঢাকা বাইপাস রোড পিপিপির প্রথম সড়ক লেনদেনের জন্য ন্যূনতম রাজস্ব গ্যারান্টি হিসেবে ৩৭০ মিলিয়ন নির্ধারন করা হয়েছিল।
কাওয়াওয়াকি বলেছেন, রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা পিপিপি প্রকল্পটি মার্কিন ডলার এবং রুপির বিনিময় হারের সাথে আংশিক রাজস্ব যুক্ত একটি প্রাপ্যতা প্রদানের ব্যবস্থার অধীনে বিতরণ করা হয়েছিল। যেখানে ঢাকা বাইপাস রোড পিপিপির প্রথম সড়ক লেনদেনের জন্য ন্যূনতম রাজস্ব গ্যারান্টি হিসেবে ৩৭০ মিলিয়ন নির্ধারন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এডিবি তাই অবকাঠামো খাতে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে উভয় ধরনের পেমেন্ট মেকানিজমের পথ প্রশস্ত করতে সাহায্য করেছে।’
চুক্তিটি বিনিয়োগের জন্য একটি সম্পদ শ্রেণী হিসেবে রাস্তা পিপিপি বিকাশে এডিবি কর্তৃক গৃহীত একটি প্রোগ্রাম্যাটিক পদ্ধতির অংশ। বাংলাদেশে লেনদেন উপদেষ্টা হিসেবে এডিবি’র সাথে পিপিপি লেনদেনের এটি দ্বিতীয় সফল আর্থিক সমাপ্তি।
এডিবি বর্তমানে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে, যা ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে সংযোগ উন্নত করবে।
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ের নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ২৫ বছরের মধ্যে চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।

 


