ফেনীর ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকায় গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ফেনী জজকোর্টের পেশকার এনামুল হক (৫২)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফতেহপুর রেললাইনের ৯৪/৭ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত এনামুল হক সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা নগরকান্দা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ ফেনী পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বারাহিপুর এলাকার মোমেনা ম্যানশনে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক বাকপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি রেললাইনের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ফতেহপুর ওভার ব্রিজের নিচে অবস্থানরত স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ করে মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে এনামুল হক অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর পান তারা। স্বজনদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়; তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সিআইডি, পিবিআই ও ডিবি পুলিশ কাজ করছে। সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ফতেহপুর রেলক্রসিং এলাকা চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এই এলাকায় একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



