স্পোর্টস ডেস্ক: পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবেই দেখা হয়। তবে আজ থেকে বছর বিশেক আগে তো তিনি আর দশটা সাধারণ খেলোয়াড়ের মতোই ছিলেন! সেই সময় তার ছবি সংবলিত এক স্টিকারই নিলামে উঠেছে সম্প্রতি। শুধু তাই নয়, ৬৯ লাখ টাকায় বিক্রিও হয়ে গেছে সেটা।
রোনালদো ইউরোপীয় ফুটবলের দৃশ্যপটে এসেছিলেন চলতি শতাব্দির শুরুর দিকে। ২০০২-০৩ মৌসুমে তার ছবি দিয়ে গুটিকয়েক স্টিকার বানিয়েছিল ইতালীয় প্রতিষ্ঠান পানিনি। তার একটাই সম্প্রতি এক নিলামে পেয়েছে এত দাম।
কেন এত দাম উঠল সেই স্টিকারের? প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান পানিনি জানাচ্ছে, এই স্টিকার সাকুল্যে বানানোই হয়েছিল ২০০টি। এর মধ্যে হারিয়ে গেছে অনেকগুলো, কোনো কোনো স্টিকার আবার নষ্টও হয়ে গেছে। জানা গেছে, এমন হতে হতে বর্তমানে ২২টি স্টিকারই বাকি আছে কেবল।
রোনালদোর সেই স্টিকার আবার ছাপা হয়েছিল স্পোর্টিং লিসবনের জার্সি গায়ে। সেই দলে খুব বেশিদিন খেলতেও পারেননি তিনি। ফলে সেই স্টিকার হয়ে গেছে আরও দুর্লভ। সে কারণেই মূলত এই স্টিকারের দাম আকাশ ছুঁয়ে গেছে রীতিমতো।
নিউজার্সিভিত্তিক নিলাম প্রতিষ্ঠান গোল্ডিন সম্প্রতি সেই স্টিকার তুলেছে নিলামে। ৬০০০০ পাউন্ডে সেই স্টিকার বিক্রিও হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম কার্ড ও স্টিকার অবশ্য এটি নয়। এমনকি তার ধারে কাছেও নেই রোনালদোর এই স্টিকারের দাম। গোল্ডিনের হাত দিয়েই সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের একটি স্টিকার বিক্রি হয়েছিল।
জ্লাতানের মালমো এফসিতে খেলার সময়ে তৈরি করা সেই স্টিকার বিকিয়েছিল ৩ লাখ ১২ হাজার ডলারে, বাংলাদশি টাকায় যা ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সমান। এর কিছুদিন পরেই অবশ্য রেকর্ডটা ভেঙে দেয় পেলের এক স্টিকার। ১৯৫৭ সালে ছাপানো এই স্টিকার দাম পেয়েছে ৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, বাংলাদেশি অর্থে যা ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। তাতেই তা বনে গেছে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দামে বিকোনো স্টিকারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।