জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাসৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকার খামারিদের অনলাইনে পশু বিক্রিতে উৎসাহিত করছেন। যদিও এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে অধিকাংশ খামারির ধারণা কম। আবার মুদ্রার উল্টো পিঠও রয়েছে। শিক্ষিত, তরুণ খামারিরা দ্রুত এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। এদেরই একজন হাসিবুল হাসান মুন্না। তিনি শুধু অনলাইনে গরু বিক্রি করছেন না। লাইভে কেজি প্রতি গরুর দামও নির্ধারণ করে দিচ্ছেন।
চাঁদপুর পৌরসভার শ্রীরামদীতে গরুর খামার গড়ে তুলেছেন মুন্না। মাত্র ৫টি গরু দিয়ে শুরু করলেও এখন তার খামারে রয়েছে ১৪টি গরু। গত দুই বছরে তিনি ১৫টি গরু বিক্রি করেছেন। ব্যবসায় সাফল্য আসায় এই তরুণ খামারি বৃহৎ পরিসরে খামার দিয়ে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরির স্বপ্ন দেখছেন।
মুন্না জানান, তার গড়া স্বপ্ন ডেইরি ফার্ম মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে তিনি স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন। এই খামারের বৈশিষ্ট্য হলো, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘাস, গমের ভূষি, সোয়াবিনের মতো খাবার দিয়ে পশু লালন-পালন করা হয়। শুধু তাই নয়, এই তরুণের ইচ্ছে গরুগুলো অনলাইনে বিক্রি করার। যে কারণে খামারের পরিবেশও ভালো; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ক্রেতা চাইলে তিনি লাইভে এসে গরুগুলো সরাসরি ক্রেতাকে দেখানোর চেষ্টা করেন।
মুন্না জানান, কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য তিনি ২টি বড় গরু মজুদ রেখেছেন। তার দাবি চাঁদপুরে তার গরুই হবে সবচেয়ে বড় গরু। দাম ৫ লাখ টাকা। সাদা এবং লাল গরু দুটি দেখতে সুন্দর উল্লেখ করে মুন্না বলেন, ‘আশাকরছি, ক্রেতাদের পছন্দ হবে। দ্রুতই বিক্রি করতে পারবো।’
করোনার কারণে ব্যবসায় মন্দা। গরুর হাট বসবে কিনা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর বিষয়টি নির্ভরশীল। মুন্না ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে হাটে না গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফার্মে এসে গরু কিনুন। চাইলে গরুর ওজন অনুযায়ী ৪৫০ টাকা কেজি হিসেবে লাইভেও গরু ক্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছি।’
বড় গরু ন্যায্য দামে নিরাপদে কিনতে হলে ফার্ম এবং অনলাইন দুটোই নিরাপদ বলে মনে করেন তরুণ এই খামারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।