আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশটির নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনামলে আঞ্চলিক সহিংসতার জেরে আবু সালেম কারাগারে হত্যাযজ্ঞের পর বিধ্বস্ত দেশ লিবিয়ায় নিখোঁজের সংস্কৃতি চালু হয়। অস্থিতিশীলতা ও রাজনীতিক সহিংসতার কারণে হাজার হাজার মানুষ প্রিয়জনকে হারিয়েছে। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গুম অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।
‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষ্যে এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। লিবিয়া ছাড়াও গোটা আফ্রিকা জুড়েই এই গুম ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশে এই নিখোঁজের সংখ্যা ৪৪ হাজারেরও বেশি।
লিবিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন। উত্তাল সাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ হওয়ার কারণে তাদের পরিবার অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে চূড়ান্ত ক্ষতির সম্মুখীন। অনেকে নিজের আপনজনকে ফিরে অপেক্ষায় রয়েছেন। ২০১০ সালে তিউনিশিয়াতে শুরু হওয়া আরব গণজাগরণের ফলে যে কয়েকটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে লিবিয়া তার মধ্যে অন্যতম। ৪২ বছর ধরে প্রতাপের সঙ্গে লিবিয়া শাসন করা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয় ২০১১ সালের অক্টোবরে। লিবিয়ার গণজাগরণের তোড়ে অবসান ঘটে একনায়ক গাদ্দাফির শাসন।
এরপর অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে হানাহানি আর রক্তপাতে পরিণত হয় লিবিয়া। বর্তমানে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলীর দখলে রয়েছে জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড-এর হাতে। তবে তাদের হঠাতে প্রায় সময় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে দেশটির পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী জেনারেল হাফতার-এর বাহিনী। উভয়পক্ষের সংঘাতে বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।