আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রথম থেকেই বিজ্ঞানীরা বলে আসছেন, বাদুড়, সাপ, ইঁদুর ও বনরুইয়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। তবে বরাবরই করোনাভাইরাসের উৎপত্তি বাদুড়ের শরীরে বলেই মনে করছেন সবাই।
যদিও অভিযোগ রয়েছে, চীনে গোপনে জীবাণু অস্ত্র তৈরির ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও সে ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও অন্য দেশের বিজ্ঞানীরা বরাবরই বলছেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। মার্কিন বিজ্ঞানীরা উহান শহর ঘুরে গিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কোনো শঙ্কা নেই। বাদুড় থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
কিন্তু উহান শহরের একটি ল্যাব থেকে ‘জীবাণু অস্ত্র’ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে চীনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করা হচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, চীনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমি। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সঠিক তথ্য আমি জানি। গণমাধ্যম যে তথ্য দিচ্ছে, তার চেয়ে অনেক খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি।
তাকে উদ্ধৃত করে আরো বলা হয়েছে, আমার কাছে এমন তথ্য রয়েছে, যা প্রকাশ হলে এ দেশের সরকার উৎখাত হয়ে যেতে পারে। এটি চীনের বাইরের কোটি কোটি মানুষের কাছেও প্রাসঙ্গিক, যাদের প্রত্যেকেই এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে রয়েছে।
পরে বলা হচ্ছিল, চীনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা জীবাণু অস্ত্র কিনে নিতে এসে শেষ মুহূর্তে দ্বন্দ্বের মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এতে করে করোনাভাইরাস লিক হয়ে ছড়িয়ে যায়।
আসলে এসব হরর টাইপের গল্প। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। কিন্তু একটি অনলাইনে আপলোড হওয়া সেই গল্প সত্য ঘটনা হিসেবে ছড়িয়ে গেছে। যা পুরোটাই গুজব। এর কারণও অবশ্য আছে। যেভাবে গল্পটি লেখা হয়েছে, যে কেউ তা সংবাদ হিসেবে পড়তে পারে।
গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য লেখাটি অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।