স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ রানে আউট হওয়াটা হয়ত পোড়াবে সাকিব আল হাসানকে! নয়ত এমন এক উচ্চতায় চলে যেতেন, যেখান থেকে তাকে ছুঁতে সাধনা করতে হত অন্য ব্যাটসম্যানদের। তবে যেটা করেছেন সেটাও অনেকের কাছে আরাধ্যই। নয় ম্যাচে বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলে পাশে বসে গেছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের।
২০০৩ বিশ্বকাপে এক আসরে সর্বোচ্চ সাতবার পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। সেই আসরে তার ৬৭৩ রান এখন পর্যন্ত এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। সাকিবের জন্য সেই কীর্তি ছোঁয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু ঠিকই ছুঁয়ে ফেলেছেন এক আসরে সাতবার পঞ্চাশ পেরোনোর কীর্তি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬২ বলে ৫০ রান করে ২০১৯ বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো পঞ্চাশ পেরিয়েছেন সাকিব। আউট হয়েছেন ৬৪ করে। আগের সাত ইনিংসে রানগুলো ছিল- ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৪১, ৫১ ও ৬৬। কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ রানে আউট হওয়াতে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে টানা আট ম্যাচে ফিফটির অসামান্য রেকর্ডে নাম লেখানো হল না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।
ফিফটি দিয়ে এই আসরে আবারও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের শীর্ষে উঠে গেছেন সাকিব। শুধু তাই নয়, ৫৮ রান তুলে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁয়েছেন এক আসরে ৬০০ রানের মাইলফলকও। ২০০৩ সালে শচীন ৬৭৩ ও ২০০৭ সালে ম্যাথু হেইডেনের ৬৫৯ রান এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তাদের পরেই এখন সাকিব, ৬০৬ রান।
তবে শেষ ম্যাচ হওয়ায় সর্বোচ্চ রানের সিংহাসনটা হয়ত ধরে রাখা হবে না সাকিবের। মাইলফলকে হয়ত তাকেও টপকে যাবেন অন্যরা। ৫৪৪ রানে তার খুব কাছেই আছেন রোহিত শর্মা। ৫১৬ রানে তৃতীয় স্থানে ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু ধারাবাহিকতার যে চূড়ান্ত নিদর্শন আর দলকে একা টানার দায়িত্ব সামলেছেন সাকিব, সেটা নিশ্চয় সবার থেকে আলাদা। নামের পাশে এবারের বিশ্বকাপে ১১ উইকেট প্রাপ্তি আছে সাকিবের। টুর্নামেন্টের সেরার দৌড়ে যা ভালোভাবেই রাখছে টাইগার মহাতারকাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।