জুমবাংলা ডেস্ক : ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলাগুলো সচল করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে `গৌরব একাত্তর’ আয়োজিত ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে জাগরণ’ শীর্ষক এক সমাবেশে এমন পরামর্শ দেন তিনি।
সাবেক আইজিপি বলেন, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা আছে। কিন্তু আজও চার্জশিট দেয়া হয়নি। কী হলো? তাদের চেঞ্জ করা যায়নি। তাদের আইনের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। ৫ মে আমি যখন প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম যে শফি হুজুরকে রেখে সবগুলোকে ধরে আনি, তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন না না থাক, দরকার নাই।
হেফাজত নেতা মামুনুল হককে উদ্দেশ্য করে শাপলা চত্বরের ঘটনা তুলে ধরে শহীদুল হক বলেন, হেফাজত কর্মীরা সেদিন কত কোরআন পুড়িয়েছে, এখানে মিডিয়ার যারা আছেন তারা দেখেছেন, তখন তো আপনি (মামুনুল) কোনো কথা বলেন নাই। আর নাসিরনগরে (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার) কে ফেসবুকে কী বলল তা নিয়ে বাড়ি ঘর পোড়ালেন।
কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক দলগুলোর ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করে সাবেক আইজিপি বলেন, তারা সব সময় ভালো কিছুর বিরোধিতা করেছে। শুরুতে বলে হারাম, কয়েকদিন পরে নিজেরাই ব্যবহার করে। এই কাঠমোল্লারা সব কিছুর বিরোধিতা করে। যখন মাইক আসলো, তারা বলল এটাতে কথা বলা হারাম। যখন টিভি আসলো তখন তারা বলে এটা শয়তানের বাক্স। দেখা যাবে না। কিন্তু আজ তারাই সেখানে ছবি দেখানোর জন্য পাগল হয়ে উঠে। এই কাঠ মোল্লারা ব্রিটিশ শাসনের সময় মুসলমানদের ইংরেজি শিখতে দেয়নি। এ কারণে তারা পরে পিছিয়ে যায়।
হেফাজত নেতা মামুনুল হককে ইসলাম নিয়ে আরো পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়ে শহীদুল হক বলেন, আপনি তো ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, হাফেজ হয়েছেন। আপনি ইসলাম নিয়ে রিসার্চ করেন। আপনি কেন ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করেন। আপনি কেন কাঠ মোল্লাদের মতো ভাস্কর্য নিয়ে ধান্ধা করেন। ইসলাম একটা শান্তিপ্রিয় ধর্ম। কিন্তু আপনারা ধর্মের নামে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ধর্মটাকে নষ্ট করে দিছেন উগ্রবাদী করে। এই হেফাজতরা ইসলামকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এস এম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে এবং এফ এম শাহীন এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।