জুমবাংলা ডেস্ক : তুচ্ছ ঘটনায় পটুয়াখালীর দশমিনায় জুবায়ের ইসলাম (১৬) নামে ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ফেলে প্রকাশ্যে বেদম মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত ও মারধর করেন বলে দাবি ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
বেদম মারধর ও লাঞ্ছিতের শিকার ওই শিক্ষার্থী দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত জুবায়ের হাজিরহাট গ্রামের মো. হায়দার মৃধার ছেলে।
জুবায়ের ইসলাম অভিযোগ করেন, ১১ এপ্রিল দশমিনা উপজেলার হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের ইসলাম হাজিরহাট বাজারের একটি দোকানে বসে কোমলপানীয় খাচ্ছিলেন। খাওয়া শেষে পানির বোতলটি রাস্তায় ছুড়ে মারলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন উত্তেজিত হয়ে জুবায়েরকে জামার কলার ধরে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বেদম মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে ও মানসিক চাপে কয়েক দফায় অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার তাকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষার্থী ঘটনার পর থেকে বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন বলে পরিবারের দাবি।
জুনায়েদ নামে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীর মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করেন না। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের মারধর করার বিধান নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।
সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।