জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শিল্প সংস্কৃতিতে অমিত সম্ভাবনার পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, শিল্প সংস্কৃতির প্রকাশ ও বিকাশের উপরই একটি জাতির আত্মপরিচয় ফুটে ওঠে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামেই বাংলাদেশের শিল্পীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন, যা বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
স্পিকার বাংলাদেশ জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’- এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বক্তব্য দেন।
এছাড়া এতে বক্তব্য প্রদান করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বরেণ্য চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চারুকলা প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন যে মানুষের মানবিক উন্নয়নের মাধ্যমে সৃষ্টিশীল জাতি গঠনে শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, সকল দেশের সকল শিল্পীর রঙ-তুলিই সার্বজনীন আবেদন তৈরি করে। তাই শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে সমাজ, সংস্কৃতি, দেশ, ঋতু বৈচিত্র্যের পাশাপাশি প্রতিবাদ-প্রতিরোধের রুপও ফুটে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় স্পিকার এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১১৪টি দেশের বরেণ্য চারুশিল্পীবৃন্দ, জুরিবোর্ডের সদস্যবৃন্দ, শিল্পকলা একাডেমির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।