জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শিশু ছাত্রকে অমানবিকভাবে পিটিয়েছেন এক মাদ্রাসাশিক্ষক। গত ২৭ মার্চ এ ঘটনা ঘটলেও গত সোমবার নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই মাদ্রাসায় বৈঠক বসে। এতে শিক্ষক আবু সাঈদকে বহিস্কার করা হয়েছে।
উপজেলার পাথরডুবী বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেনের সাত বছরের ছেলে লাম মিয়া (লাল) ঢেবঢেবি বাজারের কুলছুম কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় জামাতের শিক্ষার্থী। গত ২৭ মার্চ লালকে বাড়ির কাজ হিসেবে একটি লেখা পরদিন জমা দিতে বলেন শিক্ষক আবু সাঈদ। পরদিন অন্য একটি লেখা জমা দেওয়ায় লামকে বেত দিয়ে বেধরক পেটান তিনি। শিশুটি কান্নাকাটি করলে পেটানোর মাত্রা বাড়িয়ে দেন। সোমবার এ ঘটনার আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়। শিশুটির বাবা-মা জানতে পেরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা মাদ্রাসায় বৈঠক ডাকে। এতে শিশুটির বাবা থাকতে না পারলেও জেঠা উপস্থিত ছিলেন।
শিশুটির বাবা মোতালেব হোসেন বলেন, ছেলেকে ভয়ভীতি দেখানোয় সে বাড়িতে বলেনি। ফেসবুকে দেখে আমি আঁৎকে উঠেছি। ছেলেকে ওই শিক্ষক বলেছে, মারের কথা কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে। এ জন্য সে বলেনি। আরও তিন-চার শিক্ষার্থীকে ওই শিক্ষক নির্যাতন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মিটমাট করার কথা বলছে।
শিক্ষক আবু সাইদ পাথরডুবি বাজারের হাবিবুর রহমানের ছেলে। দেড় বছর ধরে এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। মোবাইল ফোনে ঘটনার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ঘটনাটি দেড়-দুই মাস আগের। পরীক্ষার সময় আমার সঙ্গে বেয়াদবি করায় একটু শাসন করেছি। সে সময় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে পানিশমেন্ট দিয়ে সংশোধন করে নিয়েছে।
মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার বাদ আসর শিক্ষার্থী লাম মিয়ার জেঠাকে নিয়ে মিটিং হয়েছে। সেখানে শিক্ষক আবু সাঈদকে বহিস্কার করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে মাদ্রাসা চালু রাখা এবং শিশু নির্যাতন- এ দুটি মামলা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।