লাইফস্টাইল ডেস্ক: শীতকাল মানেই পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম। আর পিঠা তৈরিতে গুড় লাগেই। গুড় যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায় তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
গুড়ে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ভিটামিন ও খনিজ থাকে। শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য তো বটেই, ত্বকের জন্যও গুড় বিশেষভাবে উপকারী। এটি ব্রণ, দাগছোপ সরিয়ে দেয়, ত্বকে সহজে বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না।
শীতে গুড় খেলে আরও কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন-
১. গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হজম করার ক্ষমতা বাড়িয়ে পেট পরিষ্কার রাখে, পাকস্থলীতে এনজ়াইম সিক্রিশন বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাস সমস্যা দূর করতেও দারুণ ভাল কাজ করে গুড়। নিয়মিত রুটির সঙ্গে গুড় খেলে তাই পাকস্থলী ভাল থাকে।
২. গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট রয়েছে। রোজ গুড় খেলে বা খাবারের সঙ্গে মেশালে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে। গুড় খেলে লোহিত রক্তকণিকার মাত্রা ও রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। রক্তাল্পতায় ভুগলে বা শরীরে আয়রনের অভাব হলে তাই শীতকালে রোজ গুড় খান।
৩. রক্ত পরিষ্কার করতেও গুড়ের জুড়ি নেই। গুড় রক্তে হেমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে গুড় বিশেষভাবে উপকারী। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা হলে বা ক্র্যাম্প ধরলে একটু গুড় খেয়ে নিলে আরাম পাবেন।
৪. গুড়ে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে, মাংসপেশি তৈরি করতে এবং বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও গুড় কার্যকরী।
৫. শরীর থেকে টক্সিন দূর করার ক্ষেত্রেও খুব কার্যকরী গুড়। রোজ এক টুকরো গুড় খেলেই উপকার পাবেন। ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলী ও ফুড পাইপ থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে শরীরকে ঝরঝরে ও রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে গুড়। ঠান্ডা লেগে জ্বর হলে, সর্দিকাশি লাগলে বা মাইগ্রেনের সমস্যা হলে গরম পানি বা চায়ে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা কমে যাবে।
৬. গুড়ের মধ্যে থাকা জ়িঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফ্রি র্যাডিকালের সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক অসুখ থেকে রক্ষা করে।
৭. নিয়মিত এক গ্লাস দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।