Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: জরুরী পরামর্শ
    লাইফস্টাইল ডেস্ক
    লাইফস্টাইল

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: জরুরী পরামর্শ

    লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 7, 202513 Mins Read
    Advertisement

    ভোরের শিশিরভেজা ঘাসের ওপর পা ফেলতেই ঠাণ্ডার শিহরণ। জানালার কাচে জমে থাকা কুয়াশার আস্তরণ ভাঙতে ভাঙতে দেখা যায় ধূসর আকাশ। গলায় মাফলার, গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে হাত উনুনের দিকে বাড়ালেও শীতের নাগাল থেকে পুরোপুরি বের হওয়া যায় না। বাংলাদেশের শীতকাল – কুয়াশা ঢাকা সকাল, গা শিউরে ওঠা ঠাণ্ডা বাতাস, আর রোদের সোনালি আলোয় বসে আড্ডা দেওয়ার সুখ। কিন্তু এই শীতের সৌন্দর্যের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি। ঠাণ্ডা লাগা, কাশি, সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের শুষ্কতা, এমনকি হাঁপানির মতো সমস্যা যেন এই ঋতুর নিত্যসঙ্গী। এই কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যেও কীভাবে নিজেকে ও পরিবারকে সুস্থ, সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখা যায় – সেই অপরিহার্য গাইডলাইন নিয়েই আজকের এই আলোচনা, যার কেন্দ্রে রয়েছে সেই অত্যন্ত জরুরি বিষয়: শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়।

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: পুষ্টি ও পানীয়ের শীতবিরোধী ঢাল

    শীতকাল মানেই নানারকম মুখরোচক খাবারের সমারোহ। কিন্তু সুস্থ থাকতে চাইলে এই ঋতুতে পুষ্টির দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং অভ্যন্তরীণ উষ্ণতা বজায় রাখাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    • ভিটামিন সি-র শক্তি: শীতকালে সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি অপরিহার্য। এই ভিটামিন শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়িয়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। ঢাকার বায়ুদূষণ কিংবা রাজশাহীর কুয়াশার চাপে যারা নাজুক, তাদের জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার একান্ত জরুরি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন:

      • কমলা, মাল্টা, পাতিলেবু, বাতাবি লেবু: শীতের সিট্রাস ফলগুলো ভিটামিন সি-তে ভরপুর। সকালের নাস্তায় বা বিকেলে এক গ্লাস তাজা কমলার রস শরীরে এনার্জি জোগাবে।
      • পেয়ারা: শীতকালীন পেয়ারা ভিটামিন সি-র উৎকৃষ্ট উৎস, যার পরিমাণ অনেক সময় কমলার চেয়েও বেশি।
      • আমলকী: এই ‘ভারতীয় গুজবেরি’ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। কাঁচা খাওয়া যায়, আচার বা মোরব্বা বানিয়েও খাওয়া যায়।
      • টমেটো, ক্যাপসিকাম: সালাদ বা রান্নায় ব্যবহার করুন।
    • জিঙ্কের ভূমিকা: রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমে জিঙ্ক পেতে পারেন:

      • ডাল, বাদাম (কাজু, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম): স্ন্যাক্স হিসেবে বা ভেজে খান।
      • মুরগির মাংস, ডিম: প্রোটিনের পাশাপাশি জিঙ্কের ভালো উৎস।
      • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (দই, পনির): ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের পাশাপাশি জিঙ্কও দেয়।
    • গরম খাবার ও স্যুপের জাদু: শীতকালে গরম খাবার শুধু স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের ভেতর থেকে উষ্ণতা প্রদান করে। অগ্রাধিকার দিন:

      • সবজির স্যুপ: গাজর, মটরশুঁটি, ব্রকলি, ফুলকপি, মিষ্টি আলু দিয়ে ঘরে তৈরি স্যুপ। আদা-রসুন যোগ করলে আরও উপকার।
      • ডালের স্যুপ বা ঝোল: মসুর ডাল, মুগ ডালের তৈরি গরম ঝোল বা স্যুপ পুষ্টিগুণে ভরপুর।
      • খিচুড়ি: সহজপাচ্য, গরম খিচুড়ি শীতের সন্ধ্যায় আদর্শ খাবার। সবজি খিচুড়ি করে নিলে পুষ্টিমান আরও বাড়ে।
      • হার্বাল চা: আদা চা, তুলসী পাতার চা, গ্রিন টি, লেবু-মধুর চা শরীর গরম রাখে, গলা ব্যথা কমায় এবং হজমে সাহায্য করে। সিলেট বা চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে আদা-লেমনগ্রাস চা শীতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
    • স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ওমেগা-৩: শরীরের তাপ ধরে রাখতে এবং ত্বককে আর্দ্র রাখতে কিছু স্বাস্থ্যকর চর্বি প্রয়োজন। বেছে নিন:

      • বাদাম ও বীজ (ফ্ল্যাক্সসিড, চিয়া সিড, তিল): সালাদ, দই বা স্মুদিতে ছড়িয়ে নিন।
      • ফ্যাটি ফিশ (যদি পাওয়া যায়): যেমন রুই, কাতলা মাছের মাথা ও তেল অংশে ভালো ফ্যাট থাকে।
      • অ্যাভোকাডো: পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল।
      • ঠাণ্ডা-প্রেসড তেল: সরিষার তেল (বাংলাদেশের ঐতিহ্য), অলিভ অয়েল – রান্নায় ও সালাদে ব্যবহার করুন।
    • হাইড্রেশন অপরিহার্য: শীতকালে তৃষ্ণা কম পায় বলে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, ত্বক শুষ্ক হয়, মাথাব্যথা ও ক্লান্তি আসে। নিয়ম মেনে পান করুন:

      • দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি (সামান্য গরম পানি হলে আরও ভালো)।
      • হার্বাল চা, স্যুপ, তাজা ফলের রস (চিনি ছাড়া) তরল গ্রহণের ভালো উৎস।
      • ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীরকে ডিহাইড্রেট করে, তাই এগুলো সীমিত করুন।
    • স্থানীয় ও মৌসুমী খাবারের গুরুত্ব: শীতকালে বাংলাদেশে নানারকম পুষ্টিকর সবজি ও ফল পাওয়া যায়। প্রচুর পরিমাণে খান:
      • শাকসবজি: পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাক, সজনে ডাটা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, গাজর, মটরশুঁটি, মিষ্টি আলু, লাউ, কুমড়া, শিম, বরবটি ইত্যাদি। এগুলো ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবারে ভরপুর।
      • ফল: কমলা, মাল্টা, বাতাবি লেবু, পেয়ারা, আপেল, আমলকী, কলা, স্ট্রবেরি (যদি পাওয়া যায়)।
      • মিষ্টি স্বাদের গুড়: খেজুরের গুড় বা আখের গুড় আয়রন ও অন্যান্য মিনারেলের ভালো উৎস। গুড়ের পায়েশ বা রুটি-গুড় শীতের জনপ্রিয় খাবার। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকতে হবে।

    মনে রাখবেন: ভারী, তৈলাক্ত, ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেলে হজমের সমস্যা ও ক্লান্তি আসতে পারে। গরম মসলা (দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ) রান্নায় ব্যবহার করুন, এগুলো শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর, গরম ও সহজপাচ্য খাবারই শীতকালে সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি। নওগাঁ বা নাটোরের গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালে গুড়-মুড়ি বা খেজুরের রসের পায়েশ শরীরে দারুণ উষ্ণতা আনে।

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: শরীরচর্চা, পোশাক ও ত্বকের যত্নের শীতবান্ধব কৌশল

    শীতকালে শুধু খাওয়া-দাওয়াই নয়, শরীরকে সক্রিয় রাখা, উপযুক্ত পোশাক পরা এবং ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের বিশেষ যত্ন নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই বিভাগে আমরা সেই দিকগুলোই গভীরভাবে জানব।

    • নিয়মিত ব্যায়াম: উষ্ণতা ও সতেজতার চাবি: ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয় যা মেজাজ ভালো রাখে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়ায়। কুয়াশা বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে।

      • সকালের হাঁটা: সূর্য ওঠার পর, কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলে হালকা গরম কাপড় পরে ৩০-৪৫ মিনিট হাঁটুন। পার্ক, নদীর পাড় বা খোলা জায়গা বেছে নিন। ঢাকার রমনা পার্ক বা চট্টগ্রামের ফয়েজ লেকে শীতের সকালে হাঁটার রীতিই আলাদা।
      • ইন্ডোর এক্সারসাইজ: যোগব্যায়াম (ইয়োগা), পিলাটিস, স্ট্রেচিং, স্কিপিং, বডিওয়েট এক্সারসাইজ (স্কোয়াট, লাঞ্জ, পুশ-আপ), কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা – ঘরে বসেই করা যায়। ইউটিউবে বাংলা ভাষায় অসংখ্য টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
      • নাচ বা এ্যারোবিক্স: প্রিয় গান বাজিয়ে ঘরেই ছন্দময় নাচ বা এ্যারোবিক্স করতে পারেন। এটি কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেসের জন্য চমৎকার।
      • শিশুদের জন্য খেলাধুলা: শিশুদের বাইরে খেলতে উৎসাহিত করুন। স্কিপিং, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন বা দড়ি টানাটানির মতো গেমস তাদের সক্রিয় রাখবে।
      • গুরুত্বপূর্ণ: ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্ম-আপ এবং শেষে কুল-ডাউন অবশ্যই করবেন। ঠাণ্ডা পেশিতে টান পড়তে পারে। ব্যায়ামের সময় হালকা পোশাক পরে শুরু করুন, পরে গরম কাপড় পরে নিন। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে শীতের বিকেলেও দেখা যায় অনেককে জগিং করতে।
    • উপযুক্ত পোশাক পরিধান: স্তরীকরণই সাফল্য: শীতের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল লেয়ারিং বা স্তরে স্তরে কাপড় পরা। একসাথে অনেকগুলো ভারী কাপড়ের চেয়ে কয়েকটি পাতলা স্তর বাতাসকে আটকে শরীরকে বেশি উষ্ণ রাখে।

      • বেস লেয়ার (আন্তরিক স্তর): শরীরের ঘাম শুষে নেয় এমন সিনথেটিক ফেব্রিক (পলিয়েস্টার) বা উলের তৈরি অন্তর্বাস পরুন। সুতি কাপড় ঘাম শুষে ঠাণ্ডা করে দিতে পারে, তাই বেস লেয়ারে এড়িয়ে চলাই ভালো।
      • মিডল লেয়ার (মধ্যম স্তর): উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তর। ফ্লিস, উল বা সোয়েটার পরুন।
      • আউটার লেয়ার (বহিরাবরণ): বৃষ্টি, বাতাস ও তুষার (যদি থাকে) থেকে রক্ষা করে এমন জলরোধী ও বাতাসরোধী জ্যাকেট বা কোট পরুন।
      • অন্যান্য অঙ্গ সুরক্ষা: মাথা, কান, গলা, হাত ও পা দ্রুত তাপ হারায়। তাই টুপি বা মাফলার দিয়ে মাথা ও কান ঢাকুন, স্কার্ফ বা মাফলার দিয়ে গলা ঢাকুন, গ্লাভস বা দস্তানা পরুন, এবং মোজা ও জুতো পরুন। পায়ে উলের মোজা দারুণ কাজ করে। ভোরে স্কুলে যাওয়া শিশুদের জন্য মাথা ও কান ঢাকার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। খুলনায় শীতের সকালে রিকশাচালকদের মাফলার-টুপি পরা প্রায় বাধ্যতামূলক।
    • ত্বকের বিশেষ যত্ন: শুষ্কতা দূর করে কোমলতা ফিরিয়ে আনুন: শীতের শুষ্ক বাতাস ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা কেড়ে নেয়, ফলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ, ফাটা ও চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের ত্বক আরও সংবেদনশীল।

      • গোসলের অভ্যাস: গরম পানির বদলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে শুষ্কতা বাড়ায়। গোসলের সময় কমিয়ে আনুন (১০-১৫ মিনিটের মধ্যে)।
      • ময়েশ্চারাইজিং: গোসলের পর শরীর যখন একটু ভেজা থাকে, তখনই পুরো শরীরে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার (তেল বা ক্রিম) মাখুন। পেট্রোলিয়াম জেলি, শিয়া বাটার, কোকোয়া বাটার, অ্যালোভেরা জেল বা গ্লিসারিন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কার্যকরী। দিনে ২-৩ বার হাত-মুখে ময়েশ্চারাইজার দিন। রাজশাহীর তীব্র শীতে অনেকেই নারিকেল তেল বা সরিষার তেল গরম করে ত্বকে ব্যবহার করেন।
      • ঠোঁটের যত্ন: ঠোঁট ফাটা শীতের সাধারণ সমস্যা। নিয়মিত লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
      • হাতের যত্ন: বারবার সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান। রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিন বা গাঢ় ক্রিম মেখে সুতির গ্লাভস পরে ঘুমালে হাত নরম থাকে।
      • সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা: শীতের রোদে মজা করলেও মনে রাখবেন, UV রে ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় (বান্দরবান, রাঙামাটি) বা সমুদ্র সৈকতে (কক্সবাজার) বেড়াতে গেলে SPF 30+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
    • শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা: পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করুন: শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায় এবং ধূলিকণা, দূষণ ও অ্যালার্জেন বেশি মাত্রায় বিরাজ করে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের মতো শিল্পাঞ্চল বা কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তরবঙ্গের (দিনাজপুর, পঞ্চগড়) এলাকায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়।

      • নাক-মুখ ঢাকুন: বাইরে বেরোলে, বিশেষ করে ধূলিকণা বা কুয়াশার মধ্যে, মাস্ক (N95 বা KN95 ভালো) পরুন। এটি ঠাণ্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালীতে ঢোকা এবং দূষণ ও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
      • বায়ুদূষণ এড়িয়ে চলুন: ভোরে বা সন্ধ্যায় বাইরের ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন যখন দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতর ব্যায়াম করুন।
      • ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত ঘর মুছুন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। বাড়িতে ধূমপান একদম নিষিদ্ধ করুন। গাছপালা ঘরের বাতাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
      • ভ্যাপার বা স্টিম: শুষ্ক বাতাসে শ্বাসনালী শুষ্ক ও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। উষ্ণ গরম পানির ভ্যাপার নিলে বা হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে, যা শ্বাসকষ্ট ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। সিলেটের চা বাগানের শীতল আবহাওয়ায় ঘরোয়া ভাপ নেওয়া একটি প্রচলিত পদ্ধতি। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের শীতকালে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
    • ঘর গরম রাখার সাবধানী পন্থা: বাংলাদেশে সাধারণত ঘর গরম করার যন্ত্রের প্রচলন নেই, তবে কিছু সতর্কতা জরুরি:
      • হিটারের ব্যবহার: যদি ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার করেন, সরাসরি তাপের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। ত্বক পুড়ে যেতে পারে। হিটার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। কখনই হিটারের সামনে ঘুমাবেন না বা তা কাপড় দিয়ে ঢাকবেন না (আগুনের ঝুঁকি)।
      • বিছানা গরম রাখা: গরম পানির বোতল (হট ওয়াটার ব্যাগ) বা ইলেকট্রিক ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করতে পারেন, তবে সাবধানে। বাচ্চাদের জন্য খুব গরম পানির বোতল ব্যবহার করবেন না।
      • জানালা-দরজা: ঠাণ্ডা বাতাস আটকাতে জানালা-দরজা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন, তবে দিনের বেলা রোদ আসতে দিন। ঘর যেন পুরোপুরি বন্ধ না থাকে, সামান্য বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।

    গুরুত্বপূর্ণ: বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি (৬৫+ বছর) এবং শিশুদের (৫ বছরের কম) শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কম দক্ষ। তাদের জন্য অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো, ঘর উষ্ণ রাখা এবং পর্যাপ্ত তরল খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতকের জন্য রুম হিটারের ব্যবহারে চরম সতর্কতা অবলম্বন করুন। বরিশাল বা পটুয়াখালীর গ্রামে শীতের রাতে বয়স্করা প্রায়ই গরম কাপড়ের স্তর ও হাঁড়ি চাপা দিয়ে ঘুমান।

    শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়: রোগ প্রতিরোধ, মানসিক সুস্থতা ও দৈনন্দিন অভ্যাস

    শীতকালে শুধু শারীরিক সুস্থতাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং কিছু দৈনন্দিন সতর্কতা মেনে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

    • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা ও সংক্রমণ এড়ানো: শীতকালে ভাইরাল ইনফেকশন (সর্দি-কাশি, ফ্লু) ছড়ানোর আদর্শ সময়। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ভাইরাস বেশি সময় বেঁচে থাকে এবং ঘরবন্দী জীবন সংক্রমণের সুযোগ বাড়ায়।

      • হাত ধোয়া: বারবার সাবান-পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন, বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে, খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন যখন সাবান-পানি নেই।
      • সামাজিক দূরত্ব: অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া এড়িয়ে চলুন। কাশি বা হাঁচির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢাকুন। ব্যবহৃত টিসু সাথে সাথে ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলুন।
      • ফ্লু ভ্যাকসিন: বার্ষিক ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া ফ্লু থেকে সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর উপায়, বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং ক্রনিক রোগে (ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অ্যাজমা) আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ক্লিনিকে যোগাযোগ করুন। বাংলাদেশে ফ্লু ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা ও সুপারিশ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পাওয়া যাবে।
      • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন দেখা বন্ধ করুন, আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন।
    • মানসিক সুস্থতার যত্ন: ঋতুজনিত বিষণ্ণতার মোকাবিলা: শীতের ছোট দিন, কম সূর্যালোক, ঘন কুয়াশা এবং ঘরবন্দী জীবন অনেকের মধ্যে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (SAD) বা ঋতুজনিত বিষণ্ণতার কারণ হতে পারে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ, ক্লান্তি, ঘুম ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, মনোযোগের অভাব, সামাজিকতা থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।

      • প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শ: দিনের বেলা যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলোর সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। জানালার পাশে বসুন, ছাদে বা বারান্দায় কিছুক্ষণ কাটান, বিশেষ করে সকালের রোদে। ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে কাজের চাপে বাইরে বেরোনো কঠিন হলেও লাঞ্চ ব্রেকে একটু হেঁটে আসার চেষ্টা করুন।
      • সক্রিয় থাকা: নিয়মিত ব্যায়াম বিষণ্ণতা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন মানসিক চাপ কমায়, মনকে শান্ত করে।
      • সামাজিক সংযোগ: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। ফোন, ভিডিও কল বা নিরাপদে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার চেষ্টা করুন। একাকিত্ব বিষণ্ণতা বাড়ায়।
      • পছন্দের কাজ করা: বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা, রান্না করা, গার্ডেনিং, হস্তশিল্প – যা ভালো লাগে তাই করুন। হবিগঞ্জের চা বাগানে বসে গরম চা খাওয়া অনেকের জন্যই মানসিক প্রশান্তি আনে।
      • পেশাদার সাহায্য: যদি বিষণ্ণতার লক্ষণ তীব্র হয় এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত করে, অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।
    • দৈনন্দিন সতর্কতা ও নিরাপত্তা: শীতকালে কিছু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
      • তাপমাত্রা জেনে বের হওয়া: বাইরে বেরোনোর আগে বর্তমান ও প্রত্যাশিত তাপমাত্রা জেনে নিন। আকাশ মেঘলা বা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা বা রেইনকোট নিন। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা কখনো কখনো ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় – সেখানে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।
      • ঘরের তাপমাত্রা: বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের ঘর যেন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা না হয় (প্রায় ১৮-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বজায় রাখার চেষ্টা করুন)। রাতে গরম কাপড়ে ঢেকে ঘুমান।
      • রাস্তা চলাচলে সতর্কতা: সকালের কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারে রাস্তা চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন। হাঁটার সময় রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট বা ব্যাজ পরুন। গাড়ি চালানোর সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন, গতি কমিয়ে দিন এবং অন্যান্য যানবাহন ও পথচারীদের দূরত্ব বজায় রাখুন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে শীতের কুয়াশায় দুর্ঘটনা বেড়ে যায়।
      • আগুনের নিরাপত্তা: ঘর গরম রাখতে বৈদ্যুতিক হিটার, কেরোসিন স্টোভ বা উনুন ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন। দাহ্য বস্তু থেকে দূরে রাখুন। স্মোক ডিটেক্টর চালু আছে কিনা নিশ্চিত করুন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে সব বৈদ্যুতিক হিটার বন্ধ করে দিন।
      • শীতকালীন ডিপ্রেশন চেক (বয়স্কদের জন্য): প্রতিবেশী, আত্মীয় বা বয়স্ক স্বজনদের খোঁজখবর নিন, বিশেষ করে যারা একা থাকেন। তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (ওষুধ, কাপড়, খাবার) আছে কিনা দেখুন।

    জেনে রাখুন (FAQs)

    • শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় কী?
      স্তর করে কাপড় পরা (লেয়ারিং) সবচেয়ে কার্যকরী। পাতলা অন্তর্বাস, মাঝারি উষ্ণতার সোয়েটার/জ্যাকেট এবং বাইরের দিকে বাতাস-পানি রোধী কোট পরুন। মাথা, কান, গলা ও হাত ভালোভাবে ঢাকুন। গরম খাবার ও পানীয় পান করুন। বাইরের তীব্র ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন।

    • শীতকালে ত্বকের যত্নে কোন ভুলগুলো আমরা প্রায়ই করি?
      গরম পানি দিয়ে দীর্ঘ সময় গোসল করা, গোসলের পর দ্রুত ময়েশ্চারাইজ না করা, ঠোঁট ও হাতে পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া, প্রচুর সাবান ব্যবহার করা এবং পানি কম পান করা – এগুলোই প্রধান ভুল। হালকা গরম পানিতে সংক্ষিপ্ত গোসল এবং ভেজা গায়েই ময়েশ্চারাইজার মাখা উচিত।

    • শীতকালে সর্দি-কাশি প্রতিরোধে কী করব?
      ভিটামিন সি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার (ফল, শাকসবজি, বাদাম) খান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, অসুস্থ ব্যক্তির কাছাকাছি যাবেন না, ফ্লু ভ্যাকসিন নিন, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং মানসিক চাপ কম রাখুন। বাইরে গেলে মাস্ক পরুন।

    • শিশুদের শীতকালে সুস্থ রাখতে কী কী বিশেষ যত্ন নেব?
      শিশুদের বয়স অনুযায়ী পর্যাপ্ত স্তরে গরম কাপড় পরান (বিশেষ করে মাথা, কান, হাত-পা)। হালকা গরম পানিতে গোসল করান, গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান। পুষ্টিকর ও গরম খাবার দিন। বাচ্চারা যেন বাইরে খেলাধুলা করে সক্রিয় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাইরের তীব্র ঠাণ্ডা ও দূষণ এড়িয়ে চলুন। তাদের হাত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস করান।

    • শীতকালে শরীরচর্চা না করলে কী সমস্যা হতে পারে?
      নিয়মিত ব্যায়াম না করলে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে, ওজন বাড়তে পারে, মেজাজ খারাপ হতে পারে (বিষণ্ণতা) এবং হাড় ও পেশীর শক্তি কমে যেতে পারে। তাই ঘরের ভেতরেই হোক বা কুয়াশা কাটলে বাইরে, কোনো না কোনোভাবে শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া জরুরি।

    • শীতকালে গরম পানীয় হিসেবে কী খাওয়া সবচেয়ে ভালো?
      আদা চা, তুলসী পাতার চা, গ্রিন টি, লেবু-মধুর গরম পানি, হালকা মসলা চা (দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ), হালকা কফি এবং বিভিন্ন সবজির স্যুপ – এগুলোই ভালো বিকল্প। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় বা অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলাই ভালো। খেজুরের রসও একটি ঐতিহ্যবাহী ও পুষ্টিকর গরম পানীয়।

    এই শীতকালে সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কিত গাইডলাইন শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। কোনো নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা (যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাঁপানি, কিডনি রোগ) থাকলে বা গুরুতর অসুস্থতা অনুভব করলে, এই পরামর্শের পরিবর্তে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।


    শীতের কনকনে হিমেল হাওয়াকে পরাজিত করে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকার চাবিকাঠি আপনার হাতেই। ‘শীতকালে সুস্থ থাকার উপায়’ শুধু কিছু নিয়ম কানুন নয়, এটি একটি সামগ্রিক জীবনযাপনের দর্শন। পুষ্টিকর গরম খাবার দিয়ে শরীরকে পুষ্ট করুন, নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে সক্রিয়তা ধরে রাখুন, স্তরে স্তরে কাপড় পরে নিজেকে রক্ষা করুন, ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের বিশেষ যত্ন নিন, মানসিক সুস্থতাকে প্রাধান্য দিন এবং ছোটখাটো সতর্কতাগুলো মেনে চলুন। মনে রাখবেন, শীতকাল তার নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়ে আসে – মিষ্টি রোদ, পিঠাপুলির উৎসব, গায়ে হলুদের মৌসুম। এই ঋতুকে উপভোগ করার জন্য দরকার শুধু একটু সচেতনতা ও প্রস্তুতি। আপনার এবং আপনার প্রিয়জনের সুস্থতাই এই শীতের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আজই শুরু করুন শীতবান্ধব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার যাত্রা, এবং আপনার কাছের মানুষদেরও এই শীতকালে সুস্থ থাকার উপায় শেয়ার করে জানিয়ে দিন – একসাথে আমরা শীতকে জয় করব সুস্থতা ও উষ্ণতার অস্ত্রে।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    উপায়, জরুরী জীবন টিপস থাকার পরামর্শ প্রতিরোধ যত্ন লাইফস্টাইল শীতকালে সুস্থ স্বাস্থ্য
    Related Posts
    রাশা থাডানি

    সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ফ্যাশন সেনসেশন রাশা থাডানি

    July 7, 2025
    প্রেমিকা

    ভাড়ায় পাওয়া যাবে প্রেমিকা, খরচও অনেক কম

    July 7, 2025
    শিশুদের আত্মনির্ভরতা শেখানোর কৌশল

    শিশুদের আত্মনির্ভরতা শেখানোর কৌশল: ভবিষ্যতের ভিত মজবুত করার অপরিহার্য পাঠ

    July 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    biya

    নতুন বর সহবাসে সক্ষম কিনা পরীক্ষা দিতে হয় কনের আত্মীয়দের কাছে

    Ullu Webseries

    নতুন ঘাম ঝরানো ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    রাশা থাডানি

    সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ফ্যাশন সেনসেশন রাশা থাডানি

    Fire-Boltt Invincible Plus Smartwatch: Price in Bangladesh & India

    Fire-Boltt Invincible Plus Smartwatch: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    MV

    জাহাজের নামের আগে ‘এম ভি’ লেখা থাকে কেন? এর অর্থ কী?

    প্রেমিকা

    ভাড়ায় পাওয়া যাবে প্রেমিকা, খরচও অনেক কম

    Russia

    ভিসা ছাড়া প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে যে দেশ

    Dyson V7 Vacuum Cleaner: Price in Bangladesh & India

    Dyson V7 Vacuum Cleaner: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    urfi javed brutally trolled

    প্রতিদিন সহবাস করলে শরীরে যা ঘটে, জানালেন উরফি জাভেদ

    ওয়েব সিরিজ

    রিলিজ হলো সবচেয়ে বোল্ড ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.