শেরপুর প্রতিনিধি: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শেরপুর জেলার প্রায় ৩৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাাবিত হয়েছে। জেলা কন্ট্রোলরুল থেকে জানা যায়, প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লোক পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছে। খবর বাসসের।
শেরপুর- জামালপুর মহাসড়কের ২টি কজওয়ের ৫ফিট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে উত্তরবঙ্গের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আজ শনিবার সরকার দলীয় হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক সদর উপজেলার বেতমারীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করছেন। জেলা প্রশাসক আনারকলি মাহবুব চরপক্ষীমারীসহ বিভিন্ন এলাকার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন এবং বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
জেলা কন্ট্রোলরুম থেকে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যেই ১০০ টন চাল বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বন্যাপরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জেলার প্রায় ৩৫টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লোক পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী বাসসকে বলেন, শেরপুর ব্রহ্মপুত্র নদের পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আরও পানি বাড়তে পারে বলে আশংকা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, ৩৫টি ইউনিয়নের উঠতি বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে চাওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।