জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে নেওয়া হতো প্রক্সি পরীক্ষা। বিনিময়ে নেওয়া হতো লাখ টাকা। প্রায় ১০ বছর ধরে সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরি নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ানো এমন ‘প্রক্সি’ চক্রের সন্ধান মিলেছে। যাদের একজনের হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া গেছে কয়েকশ’ অ্যাডমিট কার্ডের ছবি।
প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার লেনদেন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় প্রকাশ্যে আসে এই প্রক্সি কাণ্ডের ঘটনা।
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কাওছার আলী। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রার্থীদের হয়ে ‘প্রক্সি’ দেওয়ানো ও প্রশ্ন সংগ্রহ করাই তার পেশা। তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনে রয়েছে শত শত চাকরি প্রত্যাশীর অ্যাডমিড কার্ডের ছবি।
প্রক্সিকাণ্ডে কাওছারের দীর্ঘদিনের সহকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহসীন হলের আব্বাস, ইফরাত হোসেন এবং বিজয় একাত্তর হলের সোলায়মান রবিন, ইকবাল হোসেন। মূলত সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার কাজ করতেন এই চারজন।
কাওছার জানান, শুক্রবার ঢাকায় আসেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের একজনকে নিয়ে। যার চাকরির পরীক্ষার প্রক্সি দেওয়ার কথা ছিল সুলায়মানের।
কাওছার বলেন, আগেই চুক্তি হয়েছিল তার সঙ্গে। পরীক্ষায় বসার জন্য ২০ হাজার টাকা এবং পাস করলে এক-দেড় লাখ টাকার ‘চুক্তি’ হয় দুজনের।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ চলা অবস্থায়ও কাওছারের মোবাইলে প্রশ্নপত্রের জন্য একাধিক ফোন আসে।
জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার টাকা নিয়ে দেনদরবার চলা অবস্থায় কৌশলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের কাছে কাওছারকে তুলে দিয়ে সটকে পড়েন সোলাইমানসহ অন্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী পল্লব রানা পারভেজ বলেন, তাদের ফোন পেয়ে সেখান যান তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিম কওছারকে শাহবাগ থানা পুলিশের হেফাজতে দিয়ে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।