স্পোর্টস ডেস্ক : ২০০৭ সালে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। আইপিএল শিরোপাও জিতেছেন দু’বার। এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন রবিন উথাপ্পা। ক্রিকেটের সব ফরম্যাট থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
টুইটারে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। উথাপ্পা লিখেছেন, ‘আমার রাজ্য কর্নাটক ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্মানের। সব ভালোরই একটা শেষ আছে। খুব ভারাক্রান্ত মনে আমি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানাচ্ছি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’
২০০৬ সালের ১৫ এপ্রিল ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল উথাপ্পার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তিনি ১৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন। এরপরের বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও অভিষেক হয় তার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফর্ম করেছিলেন উথাপ্পা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। এরপর ধোনির বিশ্বকাপ জয়েও বড় অবদানই রেখেছেন তিনি। ২০১৫ সালে ভারতের জার্সি গায়ে চড়িয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
ভারতের হয়ে ৪৬টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন উথাপ্পা। করেছেন ৯৩৪ রান। ছয়টি ফিফটি আছে তার নামের পাশে। দেশের হয়ে ১২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৪৯ রান তিনি।
২০০৮ সালে তার আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলে। এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া হয়ে ২০১৪ সালে যোগ দেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। সেখানেই আইপিএলে নিজের সেরা সময় কাটিয়েছেন তিনি। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটি কলকাতাকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। ২০১৪ সালে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করে কমলা টুপির মালিক হয়েছিলেন তিনি, দলও সেবার জিতেছিল শিরোপা। এরপর ২০১৯ সালে তাকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। এরপর রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন তিনি। চেন্নাইয়ের হয়ে আবারও শিরোপা জিতেছেন তিনি।
আইপিএলে ২০৫টি ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৪৯৫২ রান। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটারদের তালিকায় নবম স্থানে আছে তার নাম।
নিউজিল্যান্ড সফরের আগে আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশের
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।