জুমবাংলা ডেস্ক : সাইফুল ইসলাম। এলাকায় পরিচিত সাইফুল বিডিআর নামে। একসময় বিডিআরে (বিজিবি) চাকরি করতেন। পেনশনে এসে শুরু করেন নির্মাণসামগ্রীর ব্যবসা। হঠাৎ স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শুরু হয় জীবন-মরণ যুদ্ধ। শেষ হয় তার মূলধন। অনেকটা অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যান তিনি।
সাইফুল জীবনের তাগিদে পরিবর্তন করেন পেশা। পরপর দুইবার উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এসময় ওই সংস্থার কিছু পতিত জমি ও একটি পুকুর লিজ নিয়ে শুরু করেন উৎপাদন কর্মকাণ্ড। পতিত জমিকে চাষযোগ্য করে তাতে মৌসুম অনুসারে করলা, লাউ, শিম, পেঁপে, আরকি, বরবটি, কুমড়া, রেখা চাষ শুরু করেন। এতে আসে বেশ সফলতা।
সরেজমিনে পরিদর্শনে কথা হয় সাইফুল বিডিআরের সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে দেখান তার ১০ শতাংশ জমির রেখার খামার। সুনিপুণভাবে জাল দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। মাচার ওপর আশ্রয় নিচ্ছে গাছগুলো। নিচ দিক দিয়ে ঝুলছে সবজি রেখা। দেখতে খুব সুন্দর। মনে হয় বাতাসে দোল খাচ্ছে।
এসময় সাইফুল বলেন, উপকরণ খরচ দিন দিন বাড়ছে। এদিকে অসম বাজার ব্যবস্থা আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্মে তারা যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতি কেজি রেখা বাজারে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হলে উৎপাদনকারীরা কেজি প্রতি ২০ টাকা পাচ্ছেন। এরপর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির পার্শ্বে ধুন্দুল খেতে যাই। মাচার নিচে ধুন্দুল ঝুলছে। শিম ক্ষেত পরিচর্যা করছেন দুজন শ্রমিক। আগাম শিম বাজারে আনার জন্য এ প্রচেষ্টা।
খামারি বলেন, প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীর চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগী বেশি লাভ করেন। এজন্য অনেকেই চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। সবজি চাষ করে ভালো আছি। সুষম বাজার ব্যবস্থা কিংবা উপকরণ সহযোগিতা পেলে আরও লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, সাইফুল বিডিআর নিয়মিত সবজি চাষ করেন। আগামীতে তার বিষয়টি আমরা খেয়াল রাখবো।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচএম শামীম বলেন, একজন চাষি হিসেবে তিনি অবশ্যই সেবা ও পরামর্শ পাবেন। আওতার মধ্যে থাকলে তিনি সুযোগ-সুবিধাও পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।