স্পোর্টস ডেস্ক : মাঠের বাইরে তাকে নিয়ে প্রায়শই সমালোচনা হয়। সেটি অনলাইন কমিউনিটি থেকে শুরু করে কখনো কখনো গণমাধ্যমেও। বিশ্বকাপে দলের অফিসিয়াল ফটোসেশনে যোগ দেননি বলে অনেকেই মুন্ডুপাত করেছেন। তবে সেই সাকিবই ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের নায়ক।
অবশ্য সাকিবকে নায়কের আসনে বসিয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। সাকিবের আঁটসাঁট বোলিং আর বলের সাথে পাল্লা দিয়ে তুলে নেওয়া ফিফটির পাশাপাশি অবদান ছিল তো মাশরাফি বিন মুর্তজার বোলিং আর তামিম ইকবাল সৌম্য সরকারের ব্যাটিংয়েরও। সেক্ষেত্রে ম্যাচের নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হওয়া সবাইকেই নায়কের আসনে বসান যায়। তাতেও অসুবিধা তো নেই। ক্রিকেটের মত দলীয় খেলায় নায়ক তো একাধিকই হবেন!
উইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের টাইগারদের প্রথম ম্যাচ জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল সৌম্যর ৭৩ রানের দ্রুতগতির ইনিংসে। সেই ইনিংস প্রসঙ্গে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উঠে আসলো সাকিবকে নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা-সমালোচনার প্রসঙ্গও। তার রেশ ধরে সৌম্য সাকিবকে মূল্যায়ন করলেন উচ্চাসনে বসিয়ে।
সৌম্য বলেন- ‘সাকিব ভাইকে নিয়ে তো আমাদের কোনো সন্দেহই নেই। বাইরের কে কী বলে ওটা তো আর আমরা জানি না।’
সিনিয়র সতীর্থ সাকিবের প্রতি অগাধ বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে সৌম্য বলেন, ‘আমাদের তার প্রতি অনেক বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাসের মতই উনি খেলেছেন।’
উইন্ডিজের ইনিংসের দারুণ শুরু টাইগারদের মনে জাগাচ্ছিল ৩০০ রানের ‘শঙ্কা’। শেষপর্যন্ত ক্যারিবীয়দের আটকান গেছে ২৬১ রানেই।
সৌম্য বলেন, ‘প্রথমে যখন ওরা ব্যাট করছিল তখন মনে হচ্ছিল ৩০০ রান হবে। পরে আমরা খেলা ধরতে পেরেছি, ২৬০ এ আটকাতে পেরেছি। উইকেট এত সোজা ছিল না। শট খেলা যাচ্ছিল না। প্ল্যান ছিল একটা বড় পার্টনারশিপ করার।’
অধিনায়ক মাশরাফির নেতৃত্বে দ্রুত তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরে যাওয়া মুহূর্তের প্রশংসাও সৌম্যর কণ্ঠে।
‘শুরুতে অনেকে সুইং পাচ্ছিল। তখন হয়ত উইকেট পায়নি। শেষের দিকে আমরা যে উইকেট নিতে পেরেছি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দল এতে এগিয়ে গেছে।’– বলেন সৌম্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।