স্পোর্টস ডেস্ক : সাকিব আল হাসান ইস্যুতে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। তার বিপক্ষে যেমন বিক্ষোভ চলছে, তার পক্ষেও কিছু লোক মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মসূচি পালন করেছেন। রোববার (২০ অক্টোবর) তেমনই এক কর্মসূচি চলাকালে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
মিরপুর স্টেডিয়ামের আশপাশে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি সাকিব ইস্যুটি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির নজরে আনার চেষ্টা করছে তার ভক্তরা। সাকিব যে দেশে তার ‘বিদায়ী টেস্ট সিরিজে’ খেলতে পারছেন না, এই বিষয়টি গণহারে ই-মেইল করার মাধ্যমে আইসিসিকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
তবে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে আইসিসির আনুকূল্য পাওয়া যাবে কি? আসলেই কি গণহারে ই-মেইল করলেই কোনো বিষয়কে গুরুত্বসহকারে দেখে আইসিসি? প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর হচ্ছে, না।
কারণ স্বাধীন সংস্থা হিসেবে আইসিসি কোনো রাজনৈতিক মত বা জনমতের চাপে সিদ্ধান্ত নেয় না। কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের পরিষ্কার নীতিমালা রয়েছে, তার ভিত্তিতেই নিষিদ্ধ করা বা অন্য সব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে সংস্থাটি।
আইসিসি মূলত ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এমন অনেক নজির রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকার বিরুদ্ধেও বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞার মতো শাস্তির ঘোষণা দিয়েছিল আইসিসি।
তবে যেভাবে মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে সাকিব ইস্যুতে বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না এলেও নিরাপত্তা শঙ্কা পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরুর ঠিক আগের দিন তথা রোববার যেভাবে স্টেডিয়াম এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে নিরাপত্তা শঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে সরে যায় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সেটা একটা ভুলে যাওয়ার মতো অধ্যায়। তবে আবার যদি নিরাপত্তা শঙ্কায় কোনো সিরিজের ভেন্যু পরিবর্তন বা বাতিলের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা দেশের ক্রিকেটের জন্য অশনিসংকেত হতে পারে। তেমন কোনো পরিস্থিতি তৈরির আগেই নিরাপত্তা ইস্যুতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।