আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে ১২০ রানের কম পুঁজি নিয়ে কখনো জেতেনি নিউজিল্যান্ড। প্রতিপক্ষকে ১১৫ রানের কমে বেঁধে রেখে শ্রীলঙ্কাও কখনো হারেনি ২০ ওভারের ক্রিকেটে। সর্বনিম্ন ১২০ রানের পুঁজিতে তারা হারিয়েছিল এই শ্রীলঙ্কাকেই। সেটাও ২০১০ সালে।
২০২৪ সালে এসে নিউজিল্যান্ড কীভাবে স্নায়ুচাপ সামলে ১০৮ রানের টার্গেট দিয়ে ম্যাচ জয় করেছে সেটা প্রায় সবার জানা। লকি ফার্গুসন পেয়েছেন হ্যাটট্রিক। গুড়িয়ে দিয়েছেন টপ অর্ডার। আর অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস শেষ ওভারে লঙ্কান ভরসা পাতুম নিশাঙ্কাসহ ৩ উইকেট নিয়ে শেষ পেরেকটা ঠোকেন শ্রীলঙ্কার ইনিংসে।
১০৮ রানেই অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১০৩ রানে। ৫ রানে জিতে ২ ম্যাচ সিরিজটা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভাগাভাগি করল নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে দুটা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে এর আগে ৫টির বেশি ডিসমিসাল ছিল না কারও। মাত্রই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা হেই ৫টি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন একটি স্টাম্পিং। এর আগে ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫ ডিসমিসাল ছিল ৪ জনের।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল
৬ – মিচেল হেই (নিউজিল্যান্ড)
৫ – মোহাম্মদ শাহজাদ (আফগানিস্তান), মহেন্দ্র সিং ধোনি (ভারত), ইরফান করিম (কেনিয়া), কিপলিন দোরিগা (পাপুয়া নিউগিনি)
একইদিনে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে ধস নামিয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৪ বা এর অধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল সাকিবের। তাতে এবার ভাগ বসিয়েছেন হাসারাঙ্গা। এরইমাঝে এই ফরম্যাটে অবসর নিয়েছেন সাকিব। হাসারাঙ্গা তাই খুব দ্রুতই হয়ত এই তালিকায় শীর্ষে উঠতে পারেন
ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার ৪+ উইকেট
৪ – সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)
৩ – যুজবেন্দ্র চাহাল (ভারত), ওবেদ ম্যাককয় এবং জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
১০৮ রানের পুঁজি নিয়েই এই ম্যাচে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের ক্রিকেটে যা নতুন কীর্তি অবশ্যই। সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মাঠেও এত কম রান নিয়ে কেউ কখনো টি-টোয়েন্টি জেতেনি। এর আগে ১১৫ রান করে ম্যাচ জেতার নজির ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৩ সালে কলম্বোয় হয়েছিল সেই ম্যাচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।