লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রতি বছর আমাদের দেশে সাপের কামড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। শহরের চেয়ে গ্রামে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। কিন্তু সম্প্রতি বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারের উপদ্রব গ্রাম পেরিয়ে শহরেও দেখা দিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া
শহরের পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে প্রতিনিয়ত পাওয়া যাচ্ছে রাসেল ভাইপার নামক বিষধর সাপটি। এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারাও যাচ্ছে অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষধর সাপের কামড়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর মূল কারণ সচেতনতার অভাব, ঠিক চিকিৎসার অভাব বা চিকিৎসা নিতে বিলম্ব হওয়া।
এছাড়া আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেক কুসংস্কার আছে। গ্রামের মানুষজন সাপে কাটলে ওঝা বা বেদের কাছে নিয়ে যান। এগুলো প্রাণহানির শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়।
সাপে কাটলে শক্ত বাধন দেয়া যাবে কিনা?
আমাদের দেশে প্রচলিত একটি নিয়ম আছে যে হাত বা পায়ে সাপে কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানে রশি বা দড়ি দিয়ে শক্ত গিট বা বাধন দেয়া হয় যাতে করে রক্ত চলাচলের মাধ্যমে শরীরে বিষ ছড়িয়ে না পড়ে।
তবে এটা করা উচিৎ নয় বলছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। সাপে কাটার স্থানে কোনো ধরনের শক্ত বাঁধন/গিঁট দেওয়া যাবে না। এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তিও নেই। বরং এতে হাত/পায়ে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে রক্ত প্রবাহের অভাবে টিস্যুতে পচন (Necrosis) শুরু হতে পারে।
বিষধর সাপে কামড়ালে কী করবেন?বিষধর সাপে কামড়ালে কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপে কামড়ালে আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যায়। এর মধ্যে সেই স্থান আরও শক্ত করে বাধা হলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে তা আরও ফুলে যাবে এবং আক্রান্ত অঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হবে না। এতে করে ওই অঙ্গের টিস্যুতে পচন ধরে পুরো অঙ্গটি পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলাফল হিসেবে পরবর্তীতে অঙ্গচ্ছেদ ও করা লাগতে পারে।
এছাড়া শক্ত করে বাধার ফলে ধমনীতেও রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, যা পেশী এবং স্নায়ুগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কি করণীয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, সাপে কামড় দিলে আক্রান্ত স্থানে শক্ত বাধন বা গিট না দিয়ে ব্যান্ডেজের সাহায্যে একটু চাপ দিয়ে প্যাঁচাতে হবে। একে প্রেসার ইমোবিলাইজেশন বলে। ব্যান্ডেজ না পাওয়া গেলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।