জুমবাংলা ডেস্ক : ছিলেন সার বিক্রেতা। পরে হন সুইডেন প্রবাসী। সে থেকেই নামের সঙ্গে যুক্ত হয় সুইডেন আতাউর। পরে হন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। অভিযোগ দলীয় প্রভাব ব্যবহার করেই এলাকায় জমি, কলকারখানা দখল ও প্রতারণার মাধ্যমে গড়েছেন বিপুল সম্পদের পাহাড়। বিভিন্ন সময় মামলা হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে পার পেয়ে যান তিনি।
নরসিংদী শহরের হাজীপুরে খোলা বাজারের সার বিক্রি করতেন আতাউর রহমান। পরে যান সুইডেন। স্থানীয়দের কাছে তখন থেকে তার পরিচয় ঘটে সুইডেন আতাউর নামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ অনেকের কাছ থেকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাত করেছেন বিপুল অর্থ। সবশেষ সোনালী ব্যাংকের চেক জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ঢাকার মালিবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ভাড়ার নামে শত কোটি টাকার মোল্লা স্পিনিং মিল দখল করে সুইডেন বাংলা টেক্সটাইল নামকরণ করে পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে দায়বদ্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির অবৈধ দখলদার আতাউর রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের শিল্প ঋণ বিভাগের কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্তভার প্রথমে পুলিশের কাছে থাকলেও অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে হারানো প্রতিষ্ঠান ফিরে পেতে আইনের দ্বারস্ত হয়েছেন মিলটির প্রকৃত মালিক।
মোল্লা স্পিনিং মিলের এমডি রাশেদুল হাসান মোল্লা রিন্টু বলেন, সাত মাস ভাড়া দেয়ার পর সে আর কোন ভাড়াও দেয় না আমাদেরকেও মিলে ঢুকতে দেয় না। এছাড়া আমি আমার নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও জানিয়েছি।
মোল্লা স্পিনিং মিলের চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা বলেন, সে প্রথমে দুই মাসের কথা বলে দুই বছর মিল পরিচালনা করে। তবে আমি যখন চাইবো আমার মিল আমাকে দিয়ে দিতে হবে স্থানীয়দের আশ্বাসে এই শর্তে আমি তাকে মিলের দায়িত্ব দিয়েছিলাম।কিন্তু সে ভাড়া না দিয়ে আমাকে উল্টো সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান জানান, মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয় সিআইডির এখতিয়ার। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এমপি।
শিগগিরই অন্যান্য বিষয়ের অভিযোগের তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি স্থানীয়দের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।