জুমবাংলা ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাণী অর্চনা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী সরস্বতীর পূজা হবে। পূজা ছাড়াও এ উপলক্ষে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, হাতেখড়ি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি ও আলোকসজ্জার আয়োজন থাকছে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবে ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। পূজার ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানান তিনি।
পঞ্জিকা অনুসারে, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবে পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অগণিত ভক্ত। সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। তাই শিক্ষার্থীরা এই পূজার আয়োজনে সামনে থাকেন। ধর্মীয় বিধান অনুসারে সাদা রাজহাঁসে চড়ে বিদ্যা ও সুরের দেবী সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। তিনি ভক্তদের শিক্ষা ও জ্ঞান দান করেন।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে সাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ হল চত্বর জুড়ে বিভিন্ন আইডিয়া ও থিমভিত্তিক ৭০টির বেশি মন্ডপ নির্মাণ করা হয়েছে। জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে হল প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত একটি পূজা ছাড়াও এই মহোৎসবের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে হলপুকুরে চারুকলা অনুষদের তৈরি ৩২ ফুট দীর্ঘ বিশাল আকৃতির একটি প্রতিমা।
এছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউস্থ রাজধানী স্কুল মাঠে পূজার আয়োজন করেছে জাতীয় সংসদ। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।