এক বছর আগেও তার লক্ষ্য ছিল কেবল ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলা। অথচ মাত্র এক বছরের মধ্যে তিনি নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন যে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট হারানোর মতো বিষয়ে সবথেকে বড় নায়ক এখন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার শামার জোসেফ এভাবেই ইতিহাস রচনা করেছেন।
তিনি এমন এক অঞ্চল থেকে বড় হয়েছেন যেখানে ২০১৮ সালের পূর্বে মোবাইল কানেকশন ছিল না। লেবুকে বল মনে করে প্র্যাকটিস করতেন। গায়ানার শহর থেকে সে অঞ্চলে যেতে আপনাকে নদী পথে ভ্রমণ করতে হবে।
প্রথমে অর্থের জন্য সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি নিয়েছিলেন। এরকম একজন ক্রিকেটার এখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় নায়ক। তার বোলিং করার ধরন এনালাইসিস করে দেখা যায় যে, তিনি যে খুব নিখুঁতভাবে বোলিং করেন সেটাও নয়।
তবে বয়স কম হওয়ার কারণে অনেক গতি নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি সাতজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের উইকেট নিয়ে বিস্ময় তৈরি করেছেন। তার বোলিং করার ধরন খুব নিখুঁত না হলেও তিনি দুর্দান্ত কিছু করে দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি এক্সট্রা বাউন্স ক্যারি করতে সক্ষম হয়েছেন। বোলিং এর লাইন এবং লেন্থ বজায় রেখেছেন সবসময়। ন্যাচারাল ট্যালেন্ট দিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছেন। যদিও তার বোলিং একদম নিখুঁত ছিল না।
পেট কামিন্স এর সাথে তার বোলিং একশন তুলনা করে দেখানো হয়েছিল। পেট কামিন্স এর সবকিছু নিখুঁত থাকা সত্ত্বেও শামার জোসেফের মতো পারফরমেন্স এ টেস্ট সিরিজে তিনি করতে পারেননি। শামার জোসেফ যা করে দেখিয়েছেন তা অনেক মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
যেসব ক্রিকেটার সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চল থেকে উঠে আসার চেষ্টা করেছেন তাদের জন্য এক আদর্শের গল্প তৈরি করেছেন শামার জোসেফ। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস এর অংশ হয়েছেন এবং ইতিহাস রচনা করেছেন। ক্রিকেট বিশ্ব শামার জোসেফের দুর্দান্ত গল্পের কথা সবসময় মনে রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।