সীসা দূষণ সম্পর্কে আমাদের অনেকের ভাল আইডিয়া নেই। এটি এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা পানিতে, মাটিতে এবং বায়ুতে পাওয়া সম্ভব। সীসা দূষণ কতটা ক্ষতি করে এবং আমাদের শরীরে এর প্রভাব কীভাবে পড়ে তা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
এক গবেষণায় দেখা যায় যে, আমাদের দেশে সীসা দূষণের কারণে প্রায় তিন কোটি শিশু ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বায়ু দূষণের জন্য সীসা অনেকটা দায়ী। দেয়ালসহ নানা পণ্য যেন উজ্জ্বল ও চকচকে দেখায় সেজন্য রং করা হয়। এ রং থেকেই সীসার উৎপত্তি ঘটে থাকে।
শিল্প ক্ষেত্রে যেসব রং ব্যবহার করা হয় সেখানে সীসার উপস্থিতি অনেক বেশি থাকে। বৈদ্যুতিক ব্যাটারি সহ যেহেতু কারখানায় রিসাইকেল নিয়ে কাজ করা হয় সেখানেও সীসার দূষণ ঘটে থাকে।
খাদ্যের মাধ্যমে সীসা মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুদের দেহে যদি ৩.৫ মাইক্রো গ্রাম পার ডিসিলিটার পরিমাণ সীসা থাকে তাহলে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে।
সীসার সংস্পর্শ থাকলে শিশুরা বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী হয়ে যেতে পারে। হৃদরোগ এবং কিডনি সংক্রান্ত নানা রোগের জন্য সীসার সংস্পর্শ দায়ী। শিশুর স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে সীসা।
মূলত শিশুরাই এজন্য সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। এর ফলে শিশুদের আচরণগত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এমনকি পরবর্তী সময়ে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ না ঘটা এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হতে না পারা এবং অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য এটি দায়ী হতে পারে। আপনার দেহের সীসার অতিরিক্ত উপস্থিতি থাকলে পেট ব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ভাব, অস্বস্তি ভাব, ক্ষুধা মন্দা স্মৃতিভ্রম, হাত-পায়ে ব্যথা, শরীর দুর্বল অনুভব করা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।