জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পলিভরাটকৃত ঘোমাই নদীর শুকনো তলদেশ দিয়ে বুদবুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের পশ্চিম দিকে গোমাই নদীতে এই গ্যাস বের হচ্ছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গ্যাস বের হওয়ার স্থানটি এলাকার পরিত্যক্ত ‘সূনেত্র গ্যাসকুপ’গাবি গ্রামের কয়েক কিলোমিটার দূরে। আজ শনিবার সকালে বালিয়া গ্রামের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে অবগত করেছেন।
বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমল তালুকদার বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত থেকে গ্রামের পেছনের গোমাই নদীর শুকনো অংশে বুদবুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে এবং মারাত্মক দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। গ্যাস কি না তা জানার জন্য আগুন দেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আগুন জ্বলছে।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌসুর রহমান বলেন, ‘বালিয়া গ্রামের পেছনের গোমাই নদীর তলদেশ দিয়ে গ্যাস বের হওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। তবে গ্যাস বের হওয়ার স্থানটি গ্রামের ঘরবাড়ি থেকে দূরে হওয়ায় ভয় বা আশঙ্কার কারণ নেই।’
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির মামুন বলেন, ‘গ্যাস বের হওয়ার স্থানটি পরিত্যাক্ত “সুনেত্র গ্যাসকুপ”এর ৪-৫ কিলোমিটার দূরে। মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থানা থেকে বেশ দূরে হওয়ায় বিকেলে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। ’
প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস-অনুসন্ধান ও উত্তোলন প্রতিষ্ঠান বাপেক্স সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা জেলায় মোট ২৫৯ লাইন কিলোমিটার ভুমি জরিপ সার্ভের মাধ্যমে ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের গাবী গ্রামের ‘সুনেত্র গ্যাস কুপ’খনন করে গ্যাসের সন্ধান করেছিল। প্রায় ৪ হাজার ৪৯৯ মিটার কুপ খনন করার পর ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি জানানো হয়েছিল ‘সুনেত্র গ্যাসকুপে’ গ্যাসের কোনো ‘সীমটম’ পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।