জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সন্দেহভাজন অন্তত ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের শাল্লা থানা পুলিশ আটকের এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি বাংলার।
হামলার ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৮০ জনের নাম দিয়ে এবং কয়েকশ’ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই মামলা হওয়ার পর পুলিশ সন্দেহভাজনদের আটকের জন্য অভিযান চালায়।
শাল্লা থানার পুলিশের কর্মকর্তা উদয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত সারারাত পুলিশ অভিযান চালিয়েছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে।
আটকদের সুনামগঞ্জ সদর থানা, দিরাই এবং শাল্লা থানায় পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গ্রামটিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এবং র্যাবের দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তবে সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, গ্রামের বাসিন্দাদের আতংক এখনও কাটেনি। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গত ১৫ই মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এক ধর্মীয় সমাবেশে হেফাজত ইসলামের আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হক বক্তব্য দেন।
এর পরদিন মামুনুল হককে নিয়ে গ্রামটির একজন হিন্দু যুবক স্ট্যাটাস দেয়-এই অভিযোগ তুলে হেফাজতে সেখানে বিক্ষোভ করেছিল।
সেই যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে হেফাজতে ইসলাম হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবারের এই হামলায় গ্রামটিতে হিন্দুদের ৮৮টি বাড়ি-ঘর এবং সাত আটটি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভিন্ন বাড়ি থেকে গচ্ছিত থাকা টাকা এবং স্বর্ণ লুট করেছে হামলাকারীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।