স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। এর পরের ম্যাচে ব্রাজিল নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছিল ৩-০ ম্যাচে। সেটাই ছিল দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলে হারের রেকর্ড।
এর মাঝে প্রতিপক্ষে জালে গোল উৎসব করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যেখানে প্রতিপক্ষকে ৭ গোল দেয়ার রেকর্ডও আছে তাদের। কিন্তু মঙ্গলবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে পরাজিত হয় সেলেসাওরা। যা ২০১৪ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড।
অথচ সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল পাঁচবারের বিশ্চচ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষের গোলবার লক্ষ্য করে ১১টি শট নেয় তারা, যার ৫টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে সেনেগাল ৩৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ৭ শট নেয়, যার ৪টিই ছিল লক্ষ্যে।
কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। তাই তো জার্মানির কাছে ৭-০ গোলে পরাজয়ের ৯ বছর পর এতবড় ব্যবধানে পরাজিত হলো তারা।
ব্রাজিল ২০১৬ সালের জুনে কোপা আমেরিকার ম্যাচে হাইতির বিপক্ষে ৭-১ গোলে সবচেয়ে বড় জয় পায়। এরপর একই বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বলিভিয়াকে হারিয়েছিলে ৫-০ গোলে।
২০১৮ সালে এসে আন্তর্জাতি প্রীতি ম্যাচে এল সালভেদরকে হারায় ৫-০ গোলে। ২০১৯ সালের জুনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে হন্ডুরাসের জালে গোল উৎসব সেলেসাওরা। সেবার তারা ৭-০ গোলে হারায় হন্ডুরাসকে। একই বছর কোপা আমেরিকার ম্যাচে পেরুর জালে ৫ গোল দেয় ব্রাজিল।
২০২০ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৫-০ গোলে জয় পায় তারা। ২০২২ সালে এসে দক্ষিণ কোরিয়া ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৫-০ গোলে জয় পায় লাতিন আমেরিকার দলটি।
এরপর চলতি বছর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে গিনির বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয় পায় তারা। কিন্তু তিন দিন পর সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে হারে তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।