স্পোর্টস ডেস্ক: নির্যাতন ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের বিষয়ে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহাবুব। এর আগে সোমবার জামিন আবেদন করেন আল-আমিনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ থেকে জামিন পাওয়ার পরে আল-আমিনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা কিনা? জবাবে পেসার আল-আমিন হোসেন বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। আর মামলাসহ যাবতীয় সব বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলব বুধবার।’
এর আগে গত আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। বৃহস্পতিবার তিনি লিখিত অভিযোগ করলে শুক্রবার তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। তবে ঘটনার পর পালিয়েছেন আল-আমিন, তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ- এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
মামলার বাদী ইসরাতের মামা মো. সাঈদ বলেন, ঘটনার পর বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাকে খুঁজলেও এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
থানায় অভিযোগ করার পর ইসরাত জাহান সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সে (আল-আমিন) অন্য মেয়ে নিয়ে থাকে, ২৫ আগস্ট আমাকে মারধর করেছে। তাই অভিযোগ দায়ের করেছি থানায়। তবে আমি আপস করতে চাই, আবারও সংসার করতে চাই।’
পেসার আল-আমিন ২০২০ সালে সর্বশেষ খেলেছেন জাতীয় দলে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে ব্যস্ত করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। জাতীয় দলে খেলার সময়ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল আল আমিনের বিরুদ্ধে। এ কারণে ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ থেকে দেশেও ফেরত পাঠানো হয় তাকে। নতুন করে ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।