জুমবাংলা ডেস্ক : বহু আলোচিত দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে না বাড়িয়ে এটিকে স্থায়ী রূপ দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দ্রুত বিচার আইন করার পর এর মেয়াদ ছিল ২ বছর। পরে কয়েক ধাপে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হবে। আইনটিকে স্থায়ী আইন হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এখন থেকে আর এর মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।
দ্রুত বিচার আইনটি কেন স্থায়ী করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ আইনটির অনেক সুফল আছে। এ আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এ জন্য তারা আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছেন।
রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের ওপর এ আইনের বেশি প্রয়োগ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই লাইনে আলোচনা হয়নি। আজ পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে, মন্ত্রিসভা সেটিকে গ্রহণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।