জুমবাংলা ডেস্ক: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ এবং প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন একাধারে একজন কবি, লেখক, সংগীতজ্ঞ, নাটক ও আবৃত্তিশিল্পী এবং টেলিভিশন ও রেডিও শিল্প-সাহিত্যি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক।
তিনি বলেন, বুলবুল মহলানবীশ ছিলেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম পথিকৃৎ।
তিনি আরও বলেন, ‘বুলবুলের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিখ্যাত এই শিল্পী তার কাজের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর কাছে বেঁচে থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ঐতিহাসিক মুহূর্তকে উপলক্ষ করে রেডিওতে প্রচারিত ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটিতে কণ্ঠ দেওয়া অন্যতম শিল্পী বুলবুল।
বিখ্যাত এই শিল্পী নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সহসভাপতি, রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেলা, উদীচী, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মতো আরও অনেক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।
বুলবুল বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে (শুক্রবার ভোরে) ঢাকার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
পৃথক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং পাকিস্তান সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা স্টেশনে যারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করেছিলেন, আশফাকুর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম।
তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক এবং বাংলাদেশ বেতারের সাবেক উপমহাপরিচালক ।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন তিনি।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বর্ণনা ও সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য আশফাকুর রহমান খানকে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ তার এক মহান সন্তানকে হারাল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্ভীক কণ্ঠসৈনিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং মহান মুক্তিযোদ্ধাকে তার কাজের জন্য দেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ করবে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশফাকুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।