আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপ-আমেরিকায় যখন করোনাভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল তখন স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে চীনের হুবেইয়ে। প্রদেশটির উহান শহর কোভিড-১৯-এর উৎপত্তিস্থল হলেও এতো দ্রুত সঙ্কট কেটে যাওয়ায় বিস্ময় স্থানীয়দের মধ্যেই।
এদিকে চীনের কারখানাগুলোতে ভেন্টিলেটর, মাস্ক-পিপিইর উৎপাদন পুরো দমে চলছে। যা রফতানি হচ্ছে ইউরোপের বাজারে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এখন প্রতিদিনই নতুন আশার আলো নিয়ে ওঠে সূর্য। কেটে গেছে অন্ধকার। এখানকার বাসিন্দারাও তাই মুক্ত বাতাসে রোজকার কাজকর্ম করছেন।
শহরের বাসিন্দারা বলেন, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থলে আর কোনো করোনা নেই। ভাবতেই ভালো লাগছে। এই ভাইরাস আমাদের সচেতন করে দিয়েছে। মুখে মাস্ক পরেছি সাধারণ সচেতনতার জন্য।
তারা আরও বলেন, দুই মাসের বেশি সময় ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। এখন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি। খুব ভালো লাগছে।
চীনের ৭৭ শতাংশ করোনা-মৃত্যুই উহানে। ইয়ংতজে নদীর তীরের এ শহর দেশটির অন্যতম শিল্পাঞ্চল। এক সপ্তাহ এখানে কোনো সংক্রমণের খবর মেলেনি, তাই অন্তত ৭৬ দিন পর লকডাউন খুলেছে, সঙ্গে শপিংমল-রাস্তাঘাট। গেলো ২৫ জানুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশে বন্ধ ছিল মৃতদেহ সৎকার। এখন যা ফের শুরু হয়েছে।
এদিকে চীনের অন্যান্য স্থানের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। চলছে পুরো দমে মাস্ক, ভেন্টিলেটর ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী-পিপিই উৎপাদন। যা ইউরোপ ও আমেরিকায় রফতানি করছে বেইজিং।
এদিকে ভিয়েতনাম করোনা মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। চীনের সঙ্গে সীমান্ত থাকলেও দেশটিতে করোনায় মারা যাননি কেউ। চীন সীমান্তবর্তী দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, লাওসের পরিস্থিতিও বেশ ভালো। রাশিয়ার অবস্থাও ততটা মন্দ নয়। কেবল পশ্চিমা দেশগুলোতেই আক্রান্ত ও মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।