জুমবাংলা ডেস্ক : ‘আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দিয়ে তিন দিন ঘরে আটকে রাখেন। তিন দিন পর গভীর রাতে আমাদের বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে আমার এলাকার লোকজন উদ্ধার করে আমাকে এখানে (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) নিয়ে আসে। চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তিন থেকে চারবার আমাকে মেরেছে,’ মারা যাওয়ার আগে এটাই ছিল আয়েশার শেষ কথা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুধবার (৩০ অক্টোবর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আয়েশা।
চট্টগ্রামা জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মেয়ে আয়েশা পরিবারের অমতে চন্দনাইশ উপজেলার আরিফের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আয়েশার ওপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। সর্বশেষ ১৭ অক্টোবর আরিফ ও আয়েশার শ্বাশুড়ি মিলে বিষ খাইয়ে দেয় তাকে। এরপর থেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আয়েশা।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেশব চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।