জুমবাংলা ডেস্ক : সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পুলিশ বীর মুক্তিযাদ্ধা আবুল হোসেন (৮০)।
রোববার বেলা সাড়ে ৩ টায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ২ জানুয়ারি শহরের বাগানপাড়ার বাড়ী থেকে শহরের উদ্দেশে বের হলে মুক্তিযাদ্ধা আবুল হোসেনকে চাপা দেয় ভাটা মালিক বাদশার ইট বহনকারী অবৈধ যান ‘কুত্তাগাড়ি’। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১১ দিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আইসিইউতে ছিলেন। পাবনা পুলিশ ঘাতক যানটি আটক করলেও নুর আলম নামক স্থানীয় এক নেতা প্রভাব খাটিয়ে তা ছাড়িয়ে নেয়।
জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, পুলিশ সপ্তাহ শুরু হলে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজপি কে জানানো হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গার্ড অব অনার প্রদানের পর সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তার লাশ পাবনায় আনা হবে এবং দাফন করা হবে।
পরিবার জানায়, ১৯৭১ সালে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন পুলিশের হাবিলদার আবুল হোসেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।
পাবনা সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে বাদি হয়ে ইটভাটার মালিক বাদশা, ‘কুত্তাগাড়ি’র ড্রাইভার এবং স্থানীয় নেতা নুর আলমসহ ৫ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।