আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হংকংয়ের জন্য নির্বাচনী সংস্কার বিল অনুমোদন করেছে চীন। এর ফলে হংকংয়ের নির্বাচন ব্যবস্থা ও আইনসভায় ব্যাপক বদল হবে। এগুলো মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হওয়ার কথা। সমালোচকরা বলছেন এটি হংকংয়ের উপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করবে। এই আইন সংস্কারের উদ্দেশ্য যাতে শুধুমাত্র ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যক্তিরাই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। খবর বিবিসি’র।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, সমালোচকরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, এই আইন বিরোধীদেরকে পার্লামেন্টের বাইরে রাখবে, যার অর্থ সেখানে গণতন্ত্রের অবসান ঘটবে। চীনের এ পদক্ষেপের অর্থ হলো যে কোন সম্ভাব্য সংসদ সদস্যর বিষয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগেই পরীক্ষা করে দেখা হবে যে তিনি চীনের প্রতি যথেষ্ট অনুগত কি-না।
এর আগে গত মার্চে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের সময় বেইজিং হংকংয়ের নির্বাচনী পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা অনুমোদন করে। এখন হংকংয়ের মিনি সংবিধানে সংযোজনের আগে কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি প্রস্তাবিত আইনটির সবকিছু খতিয়ে দেখছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হংকংয়ের পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা সত্তর থেকে বেড়ে নব্বইটি হবে।
কিন্তু এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটা হবে এমন এক পদ্ধতি যেখানে পার্লামেন্টের এমপি অর্থাৎ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্য হতে যারা লড়বেন তাদের আগে বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে ফলে চীনের সমালোচক কোনো রাজনীতিককে আগেই বাদ দেয়া সম্ভব হবে। এখন লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের অর্ধেক সদস্যকে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হয় এবং অতীতে এমন কিছু আসনে গণতন্ত্রপন্থীরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর বাকী অর্ধেক আসনগুলোতে মূলত ব্যবসা, বাণিজ্য কিংবা ব্যাংকিং খাতের মতো খাতগুলো থেকে নেয়া হয় যেগুলো ঐতিহাসিকভাবেই বেইজিংপন্থী হিসেবে পরিচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।