২০২৬ সালে পবিত্র হজ পালনে যেতে ইচ্ছুকদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। হজযাত্রীদের সুবিধা ও আবাসন ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে এই প্যাকেজগুলোর খরচ সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যাকেজগুলো ঘোষণা করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা জানান, হজ প্যাকেজ-১ (বিশেষ)— এ হজযাত্রীদের মক্কায় হারাম শরীফের বহিরাঙ্গণ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মারকাজিয়া বা সেন্ট্রাল এরিয়ায় হাজীদের আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। এটাচড ৬ বাথরুমসহ একরুমে সর্বোচ্চ ৫ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-২ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি+ ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৯৭ টাকা।
হজ প্যাকেজ-২ হজ প্যাকেজ-১ এর চেয়ে কিছুটা সুলভ হজ প্যাকেজ। এই প্যাকেজের হজযাত্রীদের মক্কায় হারাম শরীফের বহিরাঙ্গণ থেকে ১.২ কিলোমিটার থেকে ১.৮ কিলোমিটারের মধ্যে এবং মদিনায় মারকাজিয়া বা সেন্ট্রাল এরিয়ায় হাজীদের আবাসন সুবিধা দেওয়া হবে। এটাচড বাথরুমসহ একরুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-২ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮৮১ টাকা।
এছাড়া, হজ প্যাকেজ-১ ও হজ প্যাকেজ-২ এ নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে মক্কা ও মদিনায় ২ ও ৩ সিটের রুম আপগ্রেডেশন ও শর্ট প্যাকেজ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরব অবস্থানকাল হবে সাধারণত ৩৫ থেকে ৪৭ দিন। তবে শর্ট প্যাকেজে সৌদি আরবে অবস্থানকাল হবে ২২ থেকে ৩০ দিন।
হজ প্যাকেজ-৩ একটি সাশ্রয়ী প্যাকেজ। এই প্যাকেজের হজযাত্রীদের আবাসন হবে মক্কার আজিজিয়া এলাকায় এবং মদিনার মারকাজিয়া এলাকার বাইরে। একরুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে। মিনায় জোন-৫ এ তাঁবুর অবস্থান হবে এবং মিনা-আরাফায় ডি ক্যাটাগরির সার্ভিসসহ মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার সরবরাহ করা হবে। হারাম শরীফে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যাতায়াতে এসি বাসের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৬৭ টাকা।
উপদেষ্টা বলেন, এই প্যাকেজটি সরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য নতুন সংযোজন। এর আগে কখনও সরকারি মাধ্যমে হাজীদের জন্য আজিজিয়া এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে সর্বোচ্চ হজযাত্রী প্রেরণকারী তিনটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার হজযাত্রীদেরকে বহু বছর ধরে আজিজিয়া এলাকাতেই রাখা হয়। এছাড়া, আমাদের দেশের হজযাত্রীদেরকে দীর্ঘ বছর যাবৎ যে এলাকায় রাখা হতো এই এলাকার হোটেল বা বাড়িগুলো সৌদি সরকার ভেঙে ফেলেছে। এ কারণে আগামীতে আমাদের দেশের হজযাত্রীদেরকে আজিজিয়া এলাকায়ই রাখতে হবে।
চেন্নাইয়ের র্যালিতে ৪০ জন নিহতের ঘটনায় বিজয়ের ঘনিষ্ঠ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে, হজ এজেন্সিসমূহের জন্য ‘বেসরকারি মাধ্যমের সাধারণ হজ প্যাকেজ’ শিরোনামে একটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এই প্যাকেজটি গ্রহণ করে এজেন্সিসমূহ অতিরিক্ত দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। প্রত্যেক হজযাত্রীর খাবার বাবদ প্রতিদিন ন্যূনতম ৩৫ সৌদি রিয়াল ব্যয় হতে পারে। সে অনুসারে বেসরকারি প্যাকেজের যাত্রীদের খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা সঙ্গে নিতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে খাবার ক্রয় করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।