সাজ্জাদ বাসার, কুবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের পরিবেশ হওয়ার কথা মনোমুগ্ধকর ও নিরাপদ। কিন্তু রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলে যদি দুর্গন্ধের কারনে নাক বন্ধ করতে হয় তাহলে পরিবেশের কতটা বিপর্যয় ঘটেছে তা আলাদা করে বুঝানোর প্রয়োজন পড়ে না।
শুধু পরিবেশের বিপর্যয়ই নয় রয়েছে সড়কে দুর্ঘটনার প্রবল আশংকাও। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হল গেইট সংলগ্ন রাস্তাটিতে রাখা হয়েছে একাধিক পরিত্যক্ত গাড়ির অংশ। যেকারনে জায়গাটি হলের সামনে সুন্দর পরিবেশকে হার মানিয়ে গ্যারেজের দৃশ্য তৈরী করেছে। এছাড়াও এখানে প্রতিনিয়ত লম্বা সারিতে ট্রাকসহ ভারী যানবাহন পার্কিং করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হল গেইট সংলগ্ন ফুটপাত পেরিয়ে মূল সড়কেও জায়গা দখল করে আছে এই অবৈধ পার্কিং ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চার হলের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য এটি প্রধান সড়ক এছাড়াও এটি প্রতিনিয়ত অন্যান্য পরিবহনের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারী যানবাহনের অবৈধ পার্কিং এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ এ সড়কে যাতায়াতকারী সকলের।
একদিকে রাস্তা দখল, অন্যদিকে গতিরোধক না থাকায় গাড়ির বেপরোয়া গতি, যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দেয়াল ঘেঁষে দিনরাত গাড়ি রাখার কারণে দুর্বৃত্তদের দেয়াল টপকে মেয়েদের হলের ভেতরে প্রবেশের সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
এছাড়াও এসব ট্রাক পার্কিং এর ফলে নিচে তৈরি হচ্ছে ময়লার স্তূপ। প্রতিনিয়ত জমতে থাকা ময়লা সরানোরও নেই কোনো ব্যবস্থা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হ্যাপী আক্তার জানান,
দীর্ঘদিন ধরে দেখছি হল সংলগ্ন সড়কে পরিত্যক্ত গাড়ির স্তুপ রাখা হয়েছে। এগুলো হলের সামনের পরিবেশ যেমন নষ্ট করছে তেমনি দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই যেন কার্যকরি পদক্ষেপ নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করে।
হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি আসলেই দৃষ্টিকটু। তবে হল প্রশাসনের একার পক্ষে কথা বলে এর সমাধান সম্ভব নয়। আমরা হলের অভ্যন্তরীন পরিবেশগত সমস্যা যেভাবে সামলাতে পারি, এটা সেভাবে করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলবো। আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যাটা দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ সাদেক হোসেন মজুমদার সূত্রে জানা যায় রাস্তা বেদখল করে রাখা গাড়িগুলোর অধিকাংশই স্থানীয় ঠিকাদার মোঃ জনি মিয়ার মালিকানাধীন জনি এন্টারপ্রাইজ নামক নির্মাণ সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, “রাস্তা বেদখল করে রাখা গাড়িগুলোর মালিক জনি মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে তিনি সেগুলো সরিয়ে নিতে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন।”
অবৈধভাবে রাখা গাড়িগুলোর মালিককে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। বারবার সতর্ক করার পরও কেন স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, “এভাবে সমাধান না হলে প্রয়োজনে আমরা এলাকার কমিশনার বা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো। ছাত্রী হলের দেয়াল ঘেঁষে এমন বেদখল কর্মকান্ড ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত করে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।