জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর প্ররোচনায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলা করেন এক নারী। ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে অভিযুক্তের পক্ষে দাঁড়ায় কথিত ভুক্তভোগী। এসময় ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে হাইকোর্টে। আদালত বলেন, নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সমাজে বাড়ছে এমন ঘটনা।
ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ে নিয়ে যখন আলোচনা-সমালোচনা পুরো দেশ জুড়েই, ঠিক তখনই হাইকোর্টে একই ধরনের এক বিয়েতে জামিন চাইতে এসেছেন এক অভিযুক্ত। রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পারভেজ ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাইকোর্টে আসেন জামিন চাইতে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি খাদিজা আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়, আরেকটি মামলা আছে পর্ণোগ্রাফি আইনে।
নাটকীয়তার শুরু হয় যখন জামিন শুনানিতে হাজির হন মামলার বাদী খাদিজা আক্তার। জানান, মামলা দিতে বাধ্য করেছেন তার স্বামী। এরই মধ্যে সেই স্বামীকে দিয়েছেন তালাকও। শিগগিরই বিয়ে করবেন পারভেজ ও খাদিজা।
ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্ট দুজনকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। বিকেল সাড়ে তিনটার পর শুরু হয় জামিন শুনানি। এসময় আদালত বলেন, এক ক্রিকেটারের বিয়ে নিয়েই তোলপাড় দেশ এর মধ্যেই আরেক ঝামেলা এসে পড়লো হাইকোর্টের ঘাড়ে। আদালতের মন্তব্য, সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে এ ধরনের ঘটনা বাড়ছে।
সব শুনে তাদের দুজনকেই সতর্ক করলেন আদালত, জামিন দেন পারভেজ ইসলামকে।
জামিনের পর এক সাথেই আদালত থেকে বেরিয়ে যান পারভেজ-খাদিজা। জানান, প্রথম স্বামীকে তালাক দেয়ার ৯০ দিন পার হলেই সারবেন বিয়ের কাজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।