গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে সকাল ১১টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কাংকনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে হামাগুড়ি দিয়ে ভোট দিতে আসেন জহোরা বিবি।
উপজেলার ১০ নং বালিয়াতলি ইউনিয়নের কাংকুনি পাড়ার বাসিন্দা তিনি। বয়স তাঁর ১২০ বছর। আজ ছিল নিজ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই বয়সেও তিনি বায়না ধরেছিলেন ভোট দেওয়ার। তাই নিজেই হামাগুড়ি দিয়ে ভোটকেন্দ্রে হাজির হন তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা তথ্যানুযায়ী জহোরা বিবির বয়স যে ১২০ বছর সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম ১৯০৩ সালের ১৫ আগস্ট উল্লেখ করা আছে।
ভোট দিতে এসে জহোরা বিবি বলেন, ‘মোর যেই বয়স জীবনে আর নির্বাচন পামু কি না জানিনা, তাই নিজেই মোর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আইছি। হইতে পারে এইডাই মোর জীবনের শেষ নির্বাচন। শেষ নির্বাচনডায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট দিতে পারছি।’
কাংকনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দ্বিতীয় তলায় হওয়ায় আনসার সদস্য মোঃ ছালাম মিয়ার কাঁধে ভর করে ভোট দেন জহোরা বিবি।
একই এলাকার বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, বৃদ্ধা দাদি কালকে আমাকে বলছিলেন উনি ভোট দিবেন, শুনে আমি অবাক হই। আজকে তাকে ভোটকেন্দ্রে দেখে আমি সত্যিই হতভম্ব। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি তিনি একাই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হবে।
এদিকে এই ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল বেশি।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সমাপ্ত। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা প্রস্তুত ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।