জুমবাংলা ডেস্ক : গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর ও মারপিটের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার (১৮ জুলাই) বিকেল থেকে রাত আটটা বন্ধ পর্যন্ত বন্ধ ছিল জরুরি বিভাগের সেবা কার্যক্রম।
সদরের বাটিকামারীর জাহিদ হাসান জানান, রোববার বেলা বারোটার দিকে অসুস্থ লো ব্লাড প্রেসারের রোগী তার মা জাহেদাকে নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানকার চিকিৎসক দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে রক্ত ও স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি তাৎক্ষনিক তার মা’কে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলেক্ট্রোলাইটসহ তিনটি পরীক্ষা করাতে বলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তার মা জাহেদাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজন পাল তাকে ভর্তি না নিয়ে পরদিন রক্ত দিতে বলেন।
পরে বিনা চিকিৎসায় তার মা জাহেদা মারা যান বলে অভিযোগ করেন জাহিদ হাসান।
অন্যদিকে কর্তব্যরত ডা. সুজন পালের অভিযোগ, প্রথমে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হলেও রোগীকে ভর্তি না করে তারা বিকেলে জাহেদাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এসময় রোগীর স্বজনরা অতর্কিত জরুরি বিভাগে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন এবং তাকে ও দুই নারী চিকিৎসকসহ কর্তব্যরত চার চিকিৎসক-হাসপাতালের কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে মারপিট করে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে জাহিদ হাসান বলেন, চিকিৎসকরাই উল্টো তাদের ওপর আক্রমণ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অপারেশন) রজব আলী। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।