জুমবাংলা ডেস্ক : পূর্বের মেয়রের দায়িত্বকালে ৯ কোটি ৬৮ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার বোঝা মাথায় নিয়ে গাইবান্ধা পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত মেয়র মতলুবর রহমান। বুধবার গাইবান্ধা পৌরসভা মিলনায়তনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময়কালে পৌরসভার (অ:দ:) সচিব রেজাউল হক জানান, প্রায় শূন্য তহবিলে এই পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মেয়র মতলুবর রহমান। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ বিল খাতেই বকেয়া রয়েছে ৮ কোটি টাকা। তবে পৌরসভার তহবিল বলতে এলজিএসপির অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল খাতে শুধুমাত্র ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা (যা ঠিকাদারদের উন্নয়ন কাজের বিল পরিশোধের জন্য) পৌরসভার জন্য বরাদ্দ তহবিলে বিদ্যমান রয়েছে।
এ সময় বক্তব্য দেন- মেয়র মো. মতলুবর রহমান, শহিদ আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ রিজু, আব্দুস সামাদ রোকন, আসাদুজ্জামান হাসু, কামাল হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক স্বপন, হুমায়ুন কবির স্বপন ও শেখ শাহীন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, অধিগ্রহণকৃত পৌরপার্কের জমি, অবকাঠামো ও মেরামত বাবদ সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ৬ কোটি ১২ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২৯ টাকা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ চেক বাবদ গ্রহণ করে। যা গত ২৬ জানুয়ারি জনতা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার পৌরসভার ব্যাংক হিসাব নম্বরে (হিসাব নং-৭৯৫) জমা হয়। কিন্তু পৌরপার্কের উন্নয়নে ওই টাকা ব্যয় না করে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন অনুদান প্রদান, বর্জ্য ব্যবস্থপনা, জ্বালানি, আপ্যায়ন, লেবার ও সুইপারের বেতনসহ অন্যান্য অনির্ধারিত খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়। এছাড়াও করোনাকালীন ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ও ওই পৌর পার্কের টাকা থেকে সমন্বয় করা হয়েছে।
এমন কি পৌরসভার ষাঁটলিপিকার পদে কর্মরত মিলন সরকারের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ১৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা পৌরসভার চেকে জমা করা হয়েছে। উল্লেখিত টাকা একজন পৌর কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসাবে কি বাবদ জমা করা হয়; তার ব্যয়ের কোনো বিবরণ উল্লেখ নেই। এমনকি বর্তমান পৌর পরিষদের কাছে ওই টাকার খরচ বাবদ কোন ভাউচার পর্যন্ত জমা হয়নি। এজন্য বর্তমান পৌর মেয়র ওই কর্মচারীকে কারণদর্শানো নোটিশ জারি করেন।
তদুপরি বিভিন্ন খাতে ঋণ বাবদ ৪৫ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার অন্যতম আয়ের উৎস পুরাতন বাজারের মতো একটি সমৃদ্ধ বাজারের টোল আদায় থেকে ৫ মাসের আয় বাবদ দায়িত্ব প্রদানকালে ওই খাতে পৌরসভার তহবিলে জমা পাওয়া গেছে মাত্র ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অথচ বর্তমান দায়িত্ব গ্রহণের ৭ দিনের মধ্যেই ওই বাজার থেকে আয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা এবং ১৫ দিনে আয় হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। পুরাতন বাজার এ বছর ইজারা দেয়া হয়েছে ৮৫ লাখ ৫১ হাজার ৫৮১ টাকা। অথচ এ বাজারটি থেকে বার্ষিক আয় হয়েছে গড়ে ৮ লাখ টাকা।
পৌর মেয়র মতলুবর রহমান মতবিনিময়কালে জানান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক একটি পৌরসভা গড়তে চান তিনি। বিগত সময়ের সব ধরনের আয় ও ব্যয়ের সমুদয় হিসাব খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য তিনি পৌরবাসী ও সংবাদকর্মীসহ সকলের সহযোগী কামনা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।