জুমবাংলা ডেস্ক : পূর্বের ২ স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে গোপনে তৃতীয় বিয়ে করার দায়ে করা মামলায় গৃহবধূর দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গৃহবধূর নাম তানজিলা হায়দার। তার বর্তমান স্বামী বাবলুর মা ছালেহা বেগম এই মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারিক আদালত তিন এর বিচারক এ.এস.এম এমরান এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ফেনী শহরের রামপুর এলাকার হাফেজ উকিল বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে জিয়াউল হক বাবলুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সদর উপজেলার উত্তর শর্শদি গ্রামের ডিপটি বাড়ির রকিবুল হায়দারের মেয়ে তানজিলা হায়দারের। প্রেমের সম্পর্কের এক মাসের মধ্যে তানজিলা তাড়াহুড়ো কাউকে না জানিয়ে গোপনে গত ২০১৫ সালের ১৭ আগষ্ট ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বাবলুকে বিয়ে করে।
বিয়ের কিছুদিন পর বাবলু তার স্ত্রী তানজিলাকে ঘরে তুলে নেন। এরপর তানজিলার আচার-ব্যবহার সন্দেহজনক হলে খোঁজখবর নেয়া শুরু করেন বাবলুর মা ছালেহা বেগম। খোঁজ নিয়ে দেখেন তার ছেলের বউ তানজিলা আগে আরও দুই বিয়ে করেছেন।
ঘটনার পর বাবলুর মা ছালেহা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
প্রায় দুই বছর পর মামলার দীর্ঘ কার্যক্রম শেষে আদালত তানজিলা হায়দারকে দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।