জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ব্যবস্থা এখনও সচল করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের উৎপাদন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে থেকেই অন্য দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রধান প্রকৌশলী আবুবক্কর ছিদ্দিক।
এ দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি ফের বন্ধ হয়ে যায়। এর মাত্র চার দিন আগে ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এ ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক প্রায় ২ হাজার ৩০০ টন কয়লা প্রয়োজন হয়। ইউনিটটি দীর্ঘ ৩৬ দিন পর ৬ সেপ্টেম্বর যান্ত্রিক সমস্যা সমাধান করে উৎপাদন শুরু হয়েছিল।
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০২২ সালের অক্টোবরে ৩ নম্বর ইউনিটের অয়েল পাম্প (টারবাইন জেনারেল) নষ্ট হয়ে যায়। গতকাল সকালে রিজার্ভে থাকা অপর অয়েল পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় ইউনিটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিক চিঠি চালাচালি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। চীন থেকে অয়েল পাম্প এলেই ইউনিটি চালু করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ১ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৬ সালে চীনা কারিগরি সহায়তায় দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির পাশে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। প্রত্যাশা ছিল এর মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মিটবে। সেই সঙ্গে শিল্পকলকারখানা ও কৃষি খাতে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে উন্নীত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।