Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ৪০ বছর পর ছুটি নিলেন শিক্ষক
    Bangladesh breaking news বরিশাল বিভাগীয় সংবাদ

    ৪০ বছর পর ছুটি নিলেন শিক্ষক

    Tarek HasanDecember 31, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : মা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত। পাঠদান শেষে টানা দেড় মাস মায়ের সেবা করেছেন। অবশেষে ১৯৯৩ সালের ৫ নভেম্বর তার মা সূর্য বানু মারা যান। সেদিন ছিল শুক্রবার।

    দাফন সম্পন্ন করে পরদিন স্কুলে সময়মতো হাজির হয়ে পড়েন। ধুম জ্বরে কাতরানো সন্তানসম্ভাবনা স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে স্কুলে এসে পাঠদান করেছেন। এভাবে এক এক করে পার হয়েছে প্রায় ৪০ বছর। মামা-মামি, ফুফা-ফুফু আর শ্বশুর-শাশুড়ির জানাজায় অংশ নেওয়া ছাড়া এক দিনও স্কুল কামাই করেননি।

    শনিবারও একবার স্কুলে গিয়ে ঢু মেরে আসতেন। এসব তার জীবনের টুকরো গল্প। এগুলো গল্প নয়, আসলে সত্যি।
    এই তিনি হচ্ছেন মোশারেফ হোসেন হাওলাদার।

    দুধলমৌ আশ্বেদ কাদের মেমোরিয়াল (একিউএম) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। বরিশালের বাকেরগঞ্জে তার দাদার প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে ২৬ ডিসেম্বর শেষ কার্যদিবস ছিল এই শিক্ষকের। এই ৪০ বছর শিক্ষকতার জীবনে তার প্রাপ্য অন্তত ৮০০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি। সেখান থেকে মাত্র কয়েকটি দিন ছুটি কাটিয়েছেন। তা-ও নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুর মতো খুব বেশি জরুরি প্রয়োজনে।
    পেশার প্রতি তার আন্তরিকতায় মুগ্ধ সবাই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিকবার ‘বর্ষসেরা উপস্থিত শিক্ষক’ হিসেবে সম্মানিত করেছিলেন।

    যেভাবে শিক্ষকতায় হাতেখড়ি
    উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধলমৌ গ্রামের বাসিন্দা কাদের হাওলাদার ও আশ্বেদ গাজী। সম্পর্কে তারা বেয়াই। তারাই ১৯৫৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। দুজনের নামেই বিদ্যালয়টি নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার শুরুতেই কাদের হাওলাদারের ছেলে কাঞ্চন আলী হাওলাদার শিক্ষকতা করতেন। ১৯৮৪ সালে কাদের হাওলাদারের নাতি মোশারেফ হোসেন হাওলাদার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা শুরু করেন।

    তার আগে দুধলমৌ এ কিউ এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, দুমকী কৃষি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পটুয়াখালী এ কে এম কলেজ থেকে স্নাতক (বিএ) পাস করেন। সেই থেকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ওই স্কুলে পাঠদান করেছেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৬ সালের ১ অক্টোবর দুধলমৌ এ কিউ এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন মোশারেফ। দুই ছেলে আর এক মেয়ের জনক তিনি। তারা সবাই ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছেন।

    স্কুলই ছিল তার সংসার
    ৪০ বছরের চাকরিজীবনে হাসি-কান্নার অনেক ঘটনা ঘটে গেছে মোশারেফ হোসেনের জীবনে। কিন্তু এসব ঘটনা তাকে স্কুলে সময়মতো হাজির হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেনি। বাবা মারা গেছেন সেই ছোটবেলায়। আর মা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বিষয়টি তারা মায়ের মৃত্যুর দেড় মাস আগে জানতে পারেন। পাঠদানের পাশাপাশি তখন মায়ের সেবা করেছেন। তিনি জানান, ১৯৯৩ সালের ৫ নভেম্বর রাতে তার মা সূর্য বানু মারা যান। সেদিন ছিল শুক্রবার। দাফন সম্পন্ন করে পরদিন স্কুলে সময়মতো হাজির হয়ে পড়েন।

    মোশারেফ হোসেন আরো জানান, ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময় তার নাকে পলি ধরা পড়ে। প্রায় চার মাস যন্ত্রণায় ছটফট করেছেন। কিন্তু স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাননি। ওই বছরের শেষের দিকে স্কুল বন্ধ হলে তিনি ঢাকার বুশরা ক্লিনিকে গিয়ে নাকে অস্ত্রোপচার করান। ঢাকায় সেই ক্লিনিকে তাকে বেশ কয়েক দিন থাকতে হয়েছিল। ২০২১ সালে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, তখনো স্কুল ছুটি ছিল। স্কুল কামাই হবে ভেবে বন্ধের মধ্যে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করেছেন।

    মোশারেফ হোসেনের মেয়ে নুসরাত জাহান কুসুম বলেন, ‘ছুটি নিয়ে বাবা কখনোই কোথাও বেড়াতে যেতেন না। এ নিয়ে আমাদের ছোট সময় আফসোস ছিল। এখন আর নেই। বাবা শুধু নিকট আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে তাদের জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ছুটি নিতেন। প্রতিদিন সকালে স্কুলে যেতেন, পাঠদান শেষে আবার বাসায় ফিরতেন। বিকেলের দিকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিতেন। এই কাজটি রাত অবধি করতেন। শনিবারও স্কুলে যেতেন। এককথায় স্কুল ছিল বাবার সংসার। বাবার এই কাজের জন্য আমরা গর্বিত।’

    পেয়েছিলেন স্বীকৃতি
    বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল মামুন হাওলাদার। তিনি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। মোশারেফ হোসেনের কাছে শিখেছেন। তিনি জানান, তাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের পরিবারের উদ্যোগে ২০০০ সালে শিক্ষকদের জন্য ‘ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) বোনাস’ চালু হয়। যে শিক্ষক-কর্মচারী সারা বছরে এক দিনও অনুপস্থিত থাকবেন না, তাকে বোনাস দেওয়া হয়। সিএল বোনাস চালুর পর মোশারেফ হোসেন প্রতিবারই বোনাসটি পেয়েছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে একাধিকবার ‘বর্ষসেরা উপস্থিত শিক্ষক’ হিসেবে সম্মানিত করেছিলেন।

    বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাদিয়া সুবর্ণা পিয়া জানান, তার ৪০ বছরের শিক্ষকতা জীবনে একটিও ছুটি নেননি। কখনো ক্লাসের সময় অনুপস্থিত হননি। কোনো ঝড়-বৃষ্টি কিংবা অসুস্থতা কখনোই তার দায়িত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি। যিনি তার জীবনের অমূল্য সময় শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসর্গ করেছেন।

    মোশারেফ হোসেনের জীবনের এসব ঘটনাকে ‘কিংবদন্তির মতো’ বলে মন্তব্য করে তিনি আরো জানান, এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের আপ্লুত করেছে। তার মতো নিয়মানুবর্তিতার দাবি অনেকেই করতে পারেন না। তাকে শ্রদ্ধা জানানোর শ্রেষ্ঠ উপায় হবে, এ মানুষটিকে অনুসরণ করা। তারই অংশ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর তাঁকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সংবর্ধনা দিয়েছেন।

    দুধল‌মৌ মাধ‌্যমিক বিদ‌্যাল‌য়ের সা‌বেক প্রধান শিক্ষক হা‌বিবুর রহমান খান। বা‌কেরগঞ্জ জীবন সিংহ ইউনিয়ন (জে এস ইউ) মাধ‌্যমিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক হি‌সে‌বে তি‌নি কর্মরত। হা‌বিবুর রহমান খান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষক বছরে ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারেন। তা ছাড়া নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা, অর্জিত ছুটিসহ বিভিন্ন ধরনের ছুটি ভোগ করার বিধানও আছে। কিন্তু মোশারেফ হোসেন এমন একজন শিক্ষক, যিনি ৪০ বছরে তার প্রাপ্য অন্তত ৪০০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি থেকে মাত্র কয়েকটি দিন কাটিয়েছেন। তা-ও নিকট আত্মীয়-স্বজনদের জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আট বছর ধরে তাকে ‘বর্ষসেরা উপস্থিত শিক্ষক’ হিসেবে সম্মানিত করেছে। তার (মান্নান) অবসরের পর সেটি বন্ধ রয়েছে।’

    নারীদের চাকরি দেয়া এনজিও নিষিদ্ধ করছে তালেবান সরকার

    ছুটি কেন নেননি জানতে চাইলে একগাল হাসি দিয়ে মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘স্কুলে না গেলে মনে হয় দিনটা বুঝি শেষ হবে না। ক্লাসে শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়। তা ছাড়া একজন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে অন্যদের ওপর চাপ পড়ে। শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হয়। তাই ছুটি নেওয়ার বিষয়টি বেমালুম ভুলে যাই। আমি বিশ্বাস করি, নিজ অবস্থান থেকে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও ভালোবাসা পেলে শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

    সূত্র : কালের কণ্ঠ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ৪০ bangladesh, breaking news ছুটি নিলেন পর বছর বরিশাল বিভাগীয় শিক্ষক সংবাদ
    Related Posts
    gaibandha

    ২০ শিক্ষার্থীর জন্য ২৮ শিক্ষক, তবুও পাস করেনি কেউই

    July 14, 2025
    Khulna

    পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

    July 14, 2025
    Pabna

    সিজদা নিয়ে বিএনপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য, বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

    July 14, 2025
    সর্বশেষ খবর
    কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ

    কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ: সাশ্রয়ী স্বপ্নপূরণের হাতে-কলমে গাইড

    সাশ্রয়ী বিলাসবহুল হোটেল বুকিং টিপস

    সাশ্রয়ী বিলাসবহুল হোটেল বুকিং টিপস: সাশ্রয়ী বিলাসের গোপন কৌশল!

    টিউলিপ

    লন্ডনে বিপর্যস্ত ও দিশেহারা রূপে দেখা মিলল টিউলিপ সিদ্দিকির!

    সস্তায় বিমানের টিকিট

    সস্তায় বিমানের টিকিট: বাজেটে আকাশপথে ভ্রমণের অদেখা রাস্তা খুঁজে নিন!

    এরশাদ

    সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    ভারত

    ‘বাংলাদেশকে ছোট ভাই মনে না করে ইকুয়াল লেভেলে মনে করতে হবে ভারতকে’

    আইফোন

    বাজারে আসছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাটারি আপগ্রেডের আইফোন!

    প্রীতি

    আমির ও সঞ্জয়কে গোপনে বিয়ে করেছিলেন প্রীতি জিনতা!

    চেলসি

    পিএসজিকে মাটিতে নামিয়ে ৩-০ গোলে ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি

    গ্রহ গঠনের সময়কাল

    সৌরজগতে গ্রহ গঠনের সময়কাল নিয়ে দীর্ঘদিনের ধারণা বদলে দিচ্ছে এক উল্কাপিণ্ড

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.