গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়া অব্যাহত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১১৩টি গ্রামের নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
ফলে ওইসব এলাকার বিভিন্ন ফসলী জমি ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। ফলে বন্যা কবলিত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি তোড়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় রোববার সকালে বাঁধের ১শ ফিট অংশ ধসে গেছে। ফলে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ৭ শতাধিক বাড়িঘর ও ওইসব এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ও পোড়ার চর এলাকার প্রায় ৪শ পরিবার আকস্মিকভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে বোচাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যা কবলিত এলাকার ৩৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪টি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং পানিবন্দি নিরাশ্রয় মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা কবলিত ৪ উপজেলায় ২৪০ মে. টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাপাসিয়া ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত ১শ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও বেলকা ইউনিয়নে ১শ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩শ৩০ টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি চাল এবং ৩০ পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে ছিল মিনিকেট চাল, সোয়াবিন তেল, মসুর ডাল, লুডুস, চিনি ও লবণ ইত্যাদি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৭৮ সে.মি. তিস্তার ২২ সে.মি এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার সামান্য নিচে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।