জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে মাথার উপর থাকা সব বিদ্যুতের তার আগামী ৫ বছরের মধ্যে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার রাজধানীর বিদ্যুত ভবনে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শুধুমাত্র সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই নয়, নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ বিদ্যুত সরবরাহের জন্য এটি করা হবে।
অনুষ্ঠানে চার শহর- সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে মাটির উপরে থাকা তার নিচে নেয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি এনার্জি ট্রন আরঅ্যান্ডডি কেআইএস গ্রুপের সাথে ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার চুক্তি করে।
এনার্জি ট্রন আগামী ১২ মাসের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। কাজের মধ্যে রয়েছে বিতরণ নেটওয়ার্ক মহাপরিকল্পনার পর্যালোচনা, বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত নেটওয়ার্কের মানচিত্র তৈরি, তারের পথের জন্য মাঠ জরিপ, প্রস্তাবিত তারের পথের নকশা ও অঙ্কন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর।
এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এটি শহরগুলোকে আধুনিক করে তুলতে সহায়তা করবে, যেখানে নিরবচ্ছিন্ন ও সুরক্ষিত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মাটির উপরে থাকা তার নিচে নেয়ার ধারণাটি প্রথম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশে বিদ্যুত বিভাগ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে।
একই ধরনের প্রকল্প নিতে ডিপিডিসি, ডেসকো ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিসহ সব বিদ্যুত বিতরণ কোম্পানিকে তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নসরুল হামিদ আরও জানান, ডিপিডিসি ইতোমধ্যে তাদের ৩৩কেভি ও ১১কেভি লাইন মাটির নিচে নিয়ে যেতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাবস্টেশনও মাটির নিচে নির্মাণ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবি ইতোমধ্যে সিলেট শহরের কিছু অংশ থেকে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে নিয়েছে এবং পুরো শহরের তার নতুন প্রকল্পটির আওতায় মাটির নিচে নেয়া হবে।
তিনি পিডিবির প্রকৌশলীদের মাটির নিচের তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি থেকে শিখে নেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুত সচিব ড. সুলতান আহমেদ, পিডিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহিরুল হক ও এনার্জি ট্রনের মুখ্য প্রকৌশলী খন্দকার ওয়াহিদুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।