জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে গত ৮ই মার্চ প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাস এখন বেশ দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর ভিড় বাড়ছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার সুযোগ বাড়লেও চাহিদার তুলনায় এখনো সেটি খুবই কম। খবর বিবিসি বাংলার।
এছাড়া যারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের সু্স্থ হয়ে উঠতে গড়ে অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যে কোন রোগীর ক্ষেত্রে একটানা দু’টো পরীক্ষা নেগেটিভ হলে তাকে সুস্থ হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হতো।
একদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে টেস্টের অপ্রতুলতা – এ দুটো কারণে হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছাড়পত্র দেবার ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা বদলানো হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি হাসপাতাল থেকে রোগীর ছাড়পত্র দেওয়ার কিছু সুপারিশ করেছে। তারা কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেগুলো যথাযথ পালিত হলেই একজন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন।
কারিগরি কমিটির এসব সুপারিশ শুক্রবার নিয়মিত বুলেটিনে তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। এ বিষয়গুলো হচ্ছে নিম্নরূপ:
১. রোগীর জ্বর যদি ঔষধ ছাড়াই সেরে যায়
২. শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের সমস্যা যেমন – শুষ্ক কাশি, কফ, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা – এসব উপসর্গের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় উন্নতি হলে
৩. ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি পরীক্ষা নেগেটিভ হলে
৪. যদি পরীক্ষা করা সম্ভব না হয় তাহলে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত রোগীর জ্বর না থাকলে এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ উন্নতি হলে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ের অনুমতি দেয়া যাবে
৫. হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রোগীকে অবশ্যই নিজ বাসায় অথবা মনোনীত জায়গায় আইসোলেশনে থেকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরবর্তী ১৪ দিন সেখানেই অবস্থান করতে হবে। পরবর্তীতে সম্ভব হলে রোগী টেস্টের জন্য নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হয়ে নমুনা দিতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।